করোনা পজিটিভ হলেই হাসপাতাল নয়
- আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
জাবির অবদুল্লাহ, ঢাকা
সার্বিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ। এবারের লকডাউনে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। জরুরী সেবা ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বেরুতে রয়েছে নিষেধজ্ঞা রয়েছে। জরুরী কাজে বাইরে যেতে চাই মুভমেন্ট পাস। যে কোন মূল্যে এবারের লকডাউনের সুফল ঘরে তুলতে চায় হাসিনা সরকার। গণপরিবহন, ট্রেন, নৌযান বন্ধ রয়েছে।
কঠোর অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী
১৪ এপ্রিল সকাল ৬ টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত নতুন আটদিনের লকডাউন চলছে। সব ধরনের অফিস ও পরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
ঢাকার উড়াল সেতু : সংগ্রহ
রাজধানীজুড়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলেই গুণতে হচ্ছে জরিমানা। রাজধানীবাসীর জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে ‘মুভমেন্ট পাস’। যারা পাস দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে জরিমানা করে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্প কারখানা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যের গাড়ি থেকে পণ্য কিনতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।
করোনা পজিটিভ হলেই হাসপাতাল নয়
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা পজিটিভ হলেই হাসপাতালে যেতে হবে না। টেলিমিডিসিনের মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন। এটা যে কোন খানে হতে পারে। এমুহূর্তে সেবাটা হচ্ছে সবার আগে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করছেন না।
প্রায় ক্রেতাশূন্য কাঁচাবাজার : সংগ্রহ
এক্ষেত্রে কারো অক্সিজেন লেভেল ৯৩-এর নিচে নেমে গেলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। আক্রান্তে একটা বড় অংশ বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ালো
২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের সঙ্গে পরিচিত হলো বাংলাদেশ। বলা হলো চীনের উহান প্রদেশ থেকে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। যার প্রার্দুভাব বাংলাদেশে আছড়ে পড়েছে। যাতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ৮ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে চিরকাল।
শুধু কি তাই ? আক্রান্তর মাত্র দশদিনের মাথায় ১৮ মার্চ একজনের মৃত্যু হয়। এরপর আক্রান্ত এবং মৃত্যুর গ্রাফ দিন দিন চড়তে থাকে। প্রাদুর্ভাবের ৪০৪তম দিনে বৃহস্পতিবার আরও ৯৪ জন মারা গিয়েছেন। তাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১ জন। এর আগে বুধবার সর্বোচ্চ ৯৬ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৯৫৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৭০ জন। তাতে ৪ হাজার ১৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এটি শনাক্তের হার ২১ শতাংশ।
এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন। নতুন ৫ হাজার ৯১৫ জনসহ সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন।
মৃত ৯৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৯ জন। চট্টগ্রাম ১২, রাজশাহী ৬, খুলনায় ৩, বরিশাল ২, সিলেট ১ ও রংপুর ১ জন রয়েছেন। ৯৪ জনের মধ্যে ৬৪ জন পুরুষ, ৩০ জন নারী। ৯০ জন হাসপাতালে এবং বাড়িতে মারা গিয়েছেন ৪ জন।