করোনায় রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু ও আক্রান্ত, তারপরও মানুষের লাগামহীন চলাফেরা

- আপডেট সময় : ০৬:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
‘২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ’।
শপিংমল, মার্কেট, দোকান পাট, গণপরিবহন, রেল, লঞ্চ সবই বন্ধ। তারপরও ঢাকার ফুটপাটপাতের দোকানগুলোতে মানুষের ঢল। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি কেনাকাটায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সবাই। এ যেন অবচেতন মনে কেনাকাটার প্রতিযোগিতা।
অথচ একদিনে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ৮ হাজার ৮২২ জন করোন আক্রান্ত রেকর্ড গড়েছে। এটি গত দেড় বছরে সর্ব্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড।

এখনও পর্যন্ত আক্রান্তর সংখ্যা ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন। এর আগে গত ২৮ জুন আট হাজার ৩৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৫ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০৩ জনের মৃত্যু হলো। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনকে নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো একদিনে মৃত্যু শ’র ওপরে। ২৯ জুন মারা যান ১১২ জন। এর আগে গত ২৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৮ জুন মারা যান ১০৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫০ জন। এপর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন। পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ১০৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ আট হাজার ৯২৭টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫২টি।
মারা যাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন আর নারী ৪৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১০ হাজার ৩২৫ জন আর নারী মারা গেলেন চার হাজার ১৭৮ জন।
মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৫৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মারা গেছেন চারজন।
বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৭ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন করে, খুলনা বিভাগে ৩০ জন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের ১১ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ছয়জন।
সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ জন। বাড়িতে মারা গেছেন নয়জন।