করোনায় বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৮:০৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১ ১৯১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুতে রেকর্ড গড়ে চলেছে বাংলাদেশে। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে দেশের সর্বোচ্চ ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৩৯ জনে। শনিবার মৃতের সংখ্যা ছিলো ৭৭ জন। এর আগে গত ৮ এপ্রিল দেশে করোনায় ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।
করোনার চিকিৎসা : ছবি সংগ্রহ
২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৬ জনে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
গত জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।
প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।
কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। মাস দুয়েক পর গত ১০ মার্চ দৈনিক আক্রান্ত্রর সংখ্যা ফের হাজার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুটোই সমানতালে বৃদ্দি পাচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে।