করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যবসা-বাণিজ্যখাতে শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার পদধ্বনি

- আপডেট সময় : ১২:২৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১ ২২৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
আশঙ্কার কোন মানচিত্র নেই। যেকোন স্থানেই আছড়ে পড়তে পারে। কাবু করে দিতে পারে মানুষের চলাচল। স্তব্ধ করে দিতে অর্থনীতির চাকা। ২০১৯ সালে পৃথিবী পরিচিত হলো এক নতুন ভাইরাসের সঙ্গে। যার নাম করোনা। বৈজ্ঞানিক সংস্কারকৃত নাম কভিড-১৯।
যে নামেই চিহ্নিত করা হোক না কেন, এটি যে ভয়ঙ্কর সে বিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।অর্থনৈতিকভাবে মজবুত অবস্থানে থাকা দেশগুলো করোনার কাছে নতিস্বীকার করেছে। কলেকারখানায় লোকবলের সংখ্যা কমিয়ে আনতে বাধ্য করেছে পরিস্থিতি।

গোটা পৃথিবীজুড়ে কর্মস্থান হ্রাস পেয়েছে। বলতে গেলে করোনামহামারির কবলে পড়ে কর্ম হারাতে হয়েছে কোটি মানুষকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নানা জটিলতায় ভুগছে ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের শিক্ষার্থীরা।
অর্থনীতির চাকা যখন সচল হতে শুরু করেলো, ঠিক তখনই মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা সরাসরি আছড়ে পড়ে বাংলার বুকে। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শ্রমজীবী মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। দ্বিতীয় ধাক্কায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয়তো হারিয়ে যেতে পারে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কি হবে? মোটের ওপর আঘাতটা কিন্তু আসে অর্থনীতিতে। তা বুঝতে পেরেই রবিবার রাজধানীর ঢাকার রাজপথে নেমে আসেন ব্যবসায়ীরা।
নতুন করে করোনার সংক্রমণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন সোমবার। ঢাকার নানা ধরণের ব্যবসায়ীই নয়, কথা হয়েছে, অটো-রিকশা চালক থেকে ফুটপাতের বিক্রেতার সঙ্গেও।
শ্রম হাঠগুলোতে যেখানে কাজের আশায় বসতো নিত্যশ্রমিকেরা, আজ তারা নেই। ক’দিন চলতে পারবে তারা?
গত বছরের এপ্রিল-মে-জুন মাসের লকডাউনের কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতার কারণে দুশ্চিন্তা আরও প্রবল।
এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক বুধবার দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে তাদের প্রতিবেদনে এতথ্য বলেছে, করোনা ও লকডাউনের নতুন ধাক্কা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। গেল জুনের পর অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তা টেকসই নয়।
করোনার ঝুঁকি নিয়ে বহু উবার-পাঠাও চালক আয়ের সংস্থানে নেমেছেন। দিনমজুর, সেলুনকর্মী, রেস্তোরাঁকর্মীসহ সবার মনে ফের শঙ্কা। গত বছরের লকডাউনে তারাইতো সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েন। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ফের লকডাউনে চলে গিয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদাও কমেছে। রপ্তানিও আগের মতো হচ্ছে না। পাশাপাশি প্রায় বছর ধরে বিদেশে কাজ করছেন এমন অনেকে দেশে এসে আর কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। এতে প্রবাসী আয়ে বড় ধাক্কা আসতে পারে। করোনাকালে শ্রমিক যাওয়াটাও কমেছে।
করোনার নতুন ঢেউয়ের কারণে এই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত। কাঙ্ক্ষিত সরকারি সহায়তা না পেলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। এবারের ধাক্কায় তারা পথে নেমে আসতে পারেন।