ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশে চূড়ান্ত অনুমোদন, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে আন্দোলনে থাকা জামায়াতসহ  ৮ দল স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ ইসলামি দল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড-গণভোটের দাবিতে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল প্রেসেঞ্জার সম্মেলনে ব্রাসেলস গেলেন ঢাকা ব্যুরোর প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে নির্বাচনী জনসংযোগে গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ এনসিপিসহ আট ইসলামি দলের সঙ্গে আলোচনায় জামায়াত নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর শেষ মৌসুম সেঞ্চুরি পেরিয়ে অস্থিরতা পেঁয়াজের বাজারে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি এক হাজারের বেশি

করোনার চেয়েও প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে ‘এএমআর’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ ২১০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

ভবিষ্যতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কোভিড-১৯ এর চেয়েও বেশি প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে বলে সর্তক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধে পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার  রাতে ‘হাই লেভেল ইন্টার‌্যাকটিভ ডায়ালগ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গোটা বিশ্ব এখন ধ্বংসাত্মক কোভিড-১৯ মহামারি প্রত্যক্ষ করছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে।

তিনি বলেন, এই বিপদ (অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স) সময় মতো সামলাতে না পারলে পরিণামে মানবজীবন, প্রাণী ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের কারণে প্রতি বছর ১ কোটি মানুষ মারা যাবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার যা খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা জরুরি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এএমআর বিষয়ে ২০১৫ সালের গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান, ২০১৬ সালের ইউএন পলিটিক্যাল ডিক্লিয়ারেশন এবং এএমআর এর সমস্যা মোকাবিলার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের সহ-সভাপতি হিসেবে এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে নিজের আগ্রহের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা তার প্রথম প্রস্তাবনায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উভয় স্তরে এএমআর বিষয়ে সমন্বিত বহু-বিভাগীয় এবং সম্মিলিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে করতে ভালো উৎপাদন, পরীক্ষাগার অনুশীলন এবং নজরদারি কাঠামোর কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সাশ্রয়ী ও কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে মালিকানা শেয়ার ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করার কথাও বলেন তিনি।

চতুর্থ ও পঞ্চম প্রস্তাবনায় শেখ হাসিনা রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারত্বের মাধ্যমে এএমআর প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য টেকসই অর্থায়ন ও এটির (এএমআর) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশ্ব জনগণের সচেতনতা সৃষ্টির কথা বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার তথ্য অনুযায়ী- যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস, প্যারাসাইট সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে নিজের ভেতরে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এদের বিরুদ্ধে ওষুধে কাজ করে না তখন সেটিকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বলে। এই এএমআর এর কারণে ইনফেকশন চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং রোগ দ্রুত ছড়িয়ে মৃত্যু হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোনার চেয়েও প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে ‘এএমআর’

আপডেট সময় : ১২:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

ভবিষ্যতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কোভিড-১৯ এর চেয়েও বেশি প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে বলে সর্তক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধে পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার  রাতে ‘হাই লেভেল ইন্টার‌্যাকটিভ ডায়ালগ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গোটা বিশ্ব এখন ধ্বংসাত্মক কোভিড-১৯ মহামারি প্রত্যক্ষ করছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রাণঘাতী মহামারির কারণ হতে পারে।

তিনি বলেন, এই বিপদ (অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স) সময় মতো সামলাতে না পারলে পরিণামে মানবজীবন, প্রাণী ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের কারণে প্রতি বছর ১ কোটি মানুষ মারা যাবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার যা খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা জরুরি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এএমআর বিষয়ে ২০১৫ সালের গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান, ২০১৬ সালের ইউএন পলিটিক্যাল ডিক্লিয়ারেশন এবং এএমআর এর সমস্যা মোকাবিলার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের সহ-সভাপতি হিসেবে এএমআর-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে নিজের আগ্রহের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা তার প্রথম প্রস্তাবনায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উভয় স্তরে এএমআর বিষয়ে সমন্বিত বহু-বিভাগীয় এবং সম্মিলিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে করতে ভালো উৎপাদন, পরীক্ষাগার অনুশীলন এবং নজরদারি কাঠামোর কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য সাশ্রয়ী ও কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে মালিকানা শেয়ার ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করার কথাও বলেন তিনি।

চতুর্থ ও পঞ্চম প্রস্তাবনায় শেখ হাসিনা রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারত্বের মাধ্যমে এএমআর প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য টেকসই অর্থায়ন ও এটির (এএমআর) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশ্ব জনগণের সচেতনতা সৃষ্টির কথা বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার তথ্য অনুযায়ী- যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস, প্যারাসাইট সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে নিজের ভেতরে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এদের বিরুদ্ধে ওষুধে কাজ করে না তখন সেটিকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বলে। এই এএমআর এর কারণে ইনফেকশন চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং রোগ দ্রুত ছড়িয়ে মৃত্যু হতে পারে।