করোনাবন্দী ঐতিহাসিক রথযাত্রা

- আপডেট সময় : ০৯:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
“হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। ঢাকায় প্রধান রথযাত্রাটি অনুষ্ঠিত হয় স্বামীবাগের আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘে (ইসকন)। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় এ উৎসব”
ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন রথ যাত্রায় সামিল হতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আনতেন কৃষ্ণভক্তরা। শুধু বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষই নন, নানা জাতি-ধর্মের মানুষ ছুটে আসেন এই প্রার্থনালয়ে। কোনো গোষ্ঠীর নয়, মানুষের জন্য দেবালয়ের দরজা সকাল-সন্ধ্যা খোলা। এটি ঢাকার ঐতিহাসিক স্বামীবাগ ইসকন মন্দির নামেই খ্যাত। শত বছরের পুরোনো। বিশাল এলাকা জুড়ে এর অবস্থান।
এখানে ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণাবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ (১৮৯৬-১৯৭৭) সংক্ষেপে শ্রীল প্রভুপাদের মূর্তি রয়েছে। মহামারি কারণে দু’বছর ধরে বন্ধ রয়েছে রথযাত্রা। মন্দিরের ভেতরেই নিয়ম মানার আয়োজন সীমাবদ্ধ। প্রার্থনার বিশাল জায়গায় চারিদিকে রশি টেনে তৈরি করা হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী।
রথযাত্রার তিথি রথযাত্রার তৃতীয়া তিথি আরম্ভ হতে চলেছে সোমবার সকাল ৮ টা ২১ মিনিটে। তৃতীয়ার তিথি শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা ২৫ মিনিটে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে এমনই তথ্য দেওয়া রয়েছে। পঞ্জিকা অনুযায়ী সোমবার সকাল ৭ টা ২০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে তৃতীয়ার তিথি। শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৭ টা ১৪ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে। উল্টো রথ রয়েছে ১৯ জুলাই অর্থাৎ ২ রা শ্রাবণ।
স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে বের হয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ রথযাত্রা ঘিরে থাকতো কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্বামীবাগের ইস্কন মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য রথযাত্রা বের হয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করে পৌছাতো জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে। ফিরতি রথযাত্রার আয়োজনটাও থাকতো ব্যাপক।
ইসকনের তত্ত্বাবধানে এখানকার কালীমন্দির, শিবমন্দির-সহ বেশ কয়েকটি মন্দির পরিচালিত হয়ে আসছে। দুস্থদের সেবায় ইসকনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মসভা ও প্রচারের কাজে ৯টি নিজস্ব গাড়ি রয়েছে। মানবকল্যাণে ইসকনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে।