ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনাকালেও এশিয়ায় মাথা উঁচু প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০ ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বক্তব্য রাখেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

ভয়েস রিপোর্ট

করোনামাহারির প্রথম দিকে একটা ধাক্কা যে লাগেনি তা কিন্তু নয়। পরবর্তীতে কয়েক মাসের মধ্যেই রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শি নেতৃত্বই আজ এশিয়ায় মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি। এই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যখন ধারণা করেছিল বিশ্বের কোন দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১দশমিক ৩৮ থেকে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশের বেশি হবে না, ঠিক তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এটা অভাবনীয় সাফল্য। করোনাকালেও প্রমাণিত হলো বাঙ্গালী বীরের জাতি।
করোনাকালীন মাসতিনেকের মতো বাংলাদেশে তৈরি পোষাকখাতের রপ্তানিতে ভাটা পড়েছিলো। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে সরকারের প্রচেষ্টায় বাতিল আদেশের ৪০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রেও দুরদর্শিতার প্রমাণ রাখতে পেরেছে অর্থনৈতিক অগ্রসরমান বাংলাদেশ।

ফিতা কেটে মাসব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন

মোমেন বলেন, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুরদর্শিতার পরিচয় দিলেন। তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন যাতে অচল না হয়ে যায়, সেই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আলোচনায় সারা দিয়েছেন তারা। এজন্য বাংলাদেশের তরফে তাদেও ধন্যবাদ। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্প অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভালো করছে। প্রতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে। ফলে করোনাকালেও এশিয়ার সবগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি।
‘করোনার মোকাবেলায় চিত্রকলা’ বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সংস্কৃতি মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে মঙ্গলবার প্রদর্শনীর উদ্বোধনী করে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায়’ দেশবাসীকে সতর্ক বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ড. মোমেন।

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন ড. মোমেন

করোনা মহামারিতে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের খাবারসহ চিকিৎসার ব্যবস্থার অনুরোধ করা হয়েছিল জানিয়ে ড. মোমেন জানান তারা আমাদের কথা রেখেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যে বাংলাদেশের মিশনসমূহে অর্থ পাঠানো হয়েছিল। দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রক বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রকের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং বরেণ্য চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ বিশেষ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোনাকালেও এশিয়ায় মাথা উঁচু প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

আপডেট সময় : ০৩:২৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

বক্তব্য রাখেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

ভয়েস রিপোর্ট

করোনামাহারির প্রথম দিকে একটা ধাক্কা যে লাগেনি তা কিন্তু নয়। পরবর্তীতে কয়েক মাসের মধ্যেই রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শি নেতৃত্বই আজ এশিয়ায় মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি। এই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যখন ধারণা করেছিল বিশ্বের কোন দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১দশমিক ৩৮ থেকে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশের বেশি হবে না, ঠিক তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এটা অভাবনীয় সাফল্য। করোনাকালেও প্রমাণিত হলো বাঙ্গালী বীরের জাতি।
করোনাকালীন মাসতিনেকের মতো বাংলাদেশে তৈরি পোষাকখাতের রপ্তানিতে ভাটা পড়েছিলো। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে সরকারের প্রচেষ্টায় বাতিল আদেশের ৪০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রেও দুরদর্শিতার প্রমাণ রাখতে পেরেছে অর্থনৈতিক অগ্রসরমান বাংলাদেশ।

ফিতা কেটে মাসব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন

মোমেন বলেন, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুরদর্শিতার পরিচয় দিলেন। তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন যাতে অচল না হয়ে যায়, সেই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আলোচনায় সারা দিয়েছেন তারা। এজন্য বাংলাদেশের তরফে তাদেও ধন্যবাদ। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্প অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভালো করছে। প্রতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে। ফলে করোনাকালেও এশিয়ার সবগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি।
‘করোনার মোকাবেলায় চিত্রকলা’ বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সংস্কৃতি মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে মঙ্গলবার প্রদর্শনীর উদ্বোধনী করে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায়’ দেশবাসীকে সতর্ক বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ড. মোমেন।

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন ড. মোমেন

করোনা মহামারিতে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের খাবারসহ চিকিৎসার ব্যবস্থার অনুরোধ করা হয়েছিল জানিয়ে ড. মোমেন জানান তারা আমাদের কথা রেখেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যে বাংলাদেশের মিশনসমূহে অর্থ পাঠানো হয়েছিল। দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রক বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রকের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং বরেণ্য চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ বিশেষ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।