ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ, খোলা থাকবে রপ্তানি বাণিজ্য

ঋদ্ধিমান, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১ ২২৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জীবন রক্ষায় বিকল্প নেই জানালেন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী

সোমবার থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এসময় জরুরী সেবা এবং সীমিত সংখ্যক মন্ত্রক ও সংস্থা খোলা থাকবে। এতথ্য জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সাত দিনের এই লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করবে সরকার। লকডাউন চলাকালীন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পোশাক কারখানা, রপ্তানি পণ্য এবং স্থানীয় পণ্যবাহী যান, সংবাদমাধ্যম, ওষুধ, স্বাস্থ্য এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংক্রান্ত জরুরী সেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থা-প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতামুক্ত  থাকবে।

টেলিফোন কল রেকর্ড

বাংলাদেশে ভয়ানক থাবা বসিয়েছে করোনা। সংক্রমণ রুখতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে হাসিনা সরকার। শক্তভাবে লকডাউন কর্যকর হলেই সংক্রমণের লাগাম টানা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে কভিড সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ১৪দিনের লকডাউনের সুপারিশ করে। উর্ধমুখী সংক্রমণরোধে লকডাউনের খবর সামনে আসতেই ঢাকা ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। বিশেষ করে দেশটির ফেরিঘাটগুলোতে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের কমপক্ষে ৩০ জেলার মানুষ কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণে বিকল্প ব্যবস্থায় ফেরিঘাটে পৌছে পদ্মা পারি দিচ্ছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের মানুষ প্রায় ১৫ মাস ধরে কভিডের মতো রূপ পরিবর্তন করা মারাত্মাক ভাইরাসটির সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও দমে যাননি শেখ হাসিনা। দেশের রপ্তানী শিল্পীকে চাঙ্গা রাখতে দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিয়ে ৩ মাসের প্রণোদনা দিয়েছেন। কভিডের প্রথম ধাক্কায় পোষাক শিল্পের অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছিলো। শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উদ্যোগে অনেক অর্ডার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

ডা. দিলীপ রায়, বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক

বাংলাদের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপ। এই ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক তথা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায় বলেন, কভিডের কারণে দীর্ঘদিন থেকেই ব্যবসায়ীরা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এটি কেবল বাংলাদেশের চিত্র নয়, গোটা দুনিয়ার চিত্র একই। ডা. দিলীপ রায়ের মতে পৃথিবীর বহু দেশ ধ্বসে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে (recovery) হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ধরে রাখা গিয়েছে। কভিড না হলে আমরা আরও অনেক ওপরেই থাকতে পারতাম।

এবারের লকডাউনে ব্যবসায়ী সমাজ সমর্থনের অন্যতম কারণ হচ্ছে, আগে জীবন না ব্যবসা? বর্তমান ডেল্টা ভেরিয়েন্ট হুর হুর করে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভয়নক এই পরিস্থিতিতে লকডাউন ছাড়া আমাদের সামনে মানুষকে রক্ষায় বিকল্প পথ খোলা নেই। দিল্লীর উদাহরণ টেনে এই ব্যবসায়ী নেতা তথা চিকিৎসক বলেন, সেখানে কভিড নিয়ন্ত্রণে এসেছে একমাত্র লকডাউনের পথ ধরে। আমরা তাই করতে চাই। বাংলাদেমের অর্থনীতি, মানুষের জীবন রক্ষায়  লকডাউনকে সমর্থন করছে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী।

লকডাউনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়লেও জীবন রক্ষায় বিবেচনায় নিয়ে করোনার উর্ধমুখি সংক্রমণরোধে একমত পোষণ করেছেন দেশের অন্যতম বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়। বলেছেন, জীবন বেচে থাকলেই ব্যবসা বেচে থাকবে। করোনার যে উর্ধগতি সংক্রমণ তা রুখতে লকডাউনের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

ব্রযবসায়ী ফিকুল ইসলাম মিঠু

বাংলাদেশের জনপ্রশসান প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কঠোর লকডাউনে জরুরিসেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে। তবে অর্থবছর শেষ হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও হিসাব সংক্রান্ত কিছু অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন  বাস্তবায়ন করবে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চাচ্ছি, ঈদের আগেই লকডাউনের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণের লাগাম টানতে।

শনিবারও দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৫৩ জনে। শুক্রবার ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আরও ৪ হাজার ৩৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৮ জনে।

ব্যবসায়ী হাসান জাফরী চৌধুরী

ব্যবসায়ীরা রফিকুল ইসলাম মিঠু বলেন, তারা গত বার লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী লকডাউনের বিরোধীতা করেছেন। কিন্তু এবারে তা করার পথ নেই। জীবন রক্ষায় ব্যবসায়ী সমাজ এখন এক ছাতার তলায়।

অপর ব্যবসায়ী হাসান জাফরী চৌধুরী বলেন, তিনি গত বছর সাত লাখ টাকার ওপরে লোকসান গুণেছেন। চলতি বছরের কয়েক মাসে লাখ তিনেক টাকার গচ্ছা দিয়ে ফেলেছেন। তারপরও এবারে লকডাউন কার্যকরের পক্ষে। কারণ, জীবন রক্ষার জন্যই সরকারের এই পদক্ষেপ। আমরা চাই যে কোন মূল্যে লকডাউন কার্যকরে সরকার কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিৎ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ, খোলা থাকবে রপ্তানি বাণিজ্য

আপডেট সময় : ১০:১৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

জীবন রক্ষায় বিকল্প নেই জানালেন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী

সোমবার থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এসময় জরুরী সেবা এবং সীমিত সংখ্যক মন্ত্রক ও সংস্থা খোলা থাকবে। এতথ্য জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সাত দিনের এই লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করবে সরকার। লকডাউন চলাকালীন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পোশাক কারখানা, রপ্তানি পণ্য এবং স্থানীয় পণ্যবাহী যান, সংবাদমাধ্যম, ওষুধ, স্বাস্থ্য এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংক্রান্ত জরুরী সেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থা-প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতামুক্ত  থাকবে।

টেলিফোন কল রেকর্ড

বাংলাদেশে ভয়ানক থাবা বসিয়েছে করোনা। সংক্রমণ রুখতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে হাসিনা সরকার। শক্তভাবে লকডাউন কর্যকর হলেই সংক্রমণের লাগাম টানা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে কভিড সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ১৪দিনের লকডাউনের সুপারিশ করে। উর্ধমুখী সংক্রমণরোধে লকডাউনের খবর সামনে আসতেই ঢাকা ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। বিশেষ করে দেশটির ফেরিঘাটগুলোতে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের কমপক্ষে ৩০ জেলার মানুষ কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণে বিকল্প ব্যবস্থায় ফেরিঘাটে পৌছে পদ্মা পারি দিচ্ছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের মানুষ প্রায় ১৫ মাস ধরে কভিডের মতো রূপ পরিবর্তন করা মারাত্মাক ভাইরাসটির সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও দমে যাননি শেখ হাসিনা। দেশের রপ্তানী শিল্পীকে চাঙ্গা রাখতে দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিয়ে ৩ মাসের প্রণোদনা দিয়েছেন। কভিডের প্রথম ধাক্কায় পোষাক শিল্পের অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছিলো। শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উদ্যোগে অনেক অর্ডার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

ডা. দিলীপ রায়, বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক

বাংলাদের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপ। এই ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক তথা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায় বলেন, কভিডের কারণে দীর্ঘদিন থেকেই ব্যবসায়ীরা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এটি কেবল বাংলাদেশের চিত্র নয়, গোটা দুনিয়ার চিত্র একই। ডা. দিলীপ রায়ের মতে পৃথিবীর বহু দেশ ধ্বসে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে (recovery) হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ধরে রাখা গিয়েছে। কভিড না হলে আমরা আরও অনেক ওপরেই থাকতে পারতাম।

এবারের লকডাউনে ব্যবসায়ী সমাজ সমর্থনের অন্যতম কারণ হচ্ছে, আগে জীবন না ব্যবসা? বর্তমান ডেল্টা ভেরিয়েন্ট হুর হুর করে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভয়নক এই পরিস্থিতিতে লকডাউন ছাড়া আমাদের সামনে মানুষকে রক্ষায় বিকল্প পথ খোলা নেই। দিল্লীর উদাহরণ টেনে এই ব্যবসায়ী নেতা তথা চিকিৎসক বলেন, সেখানে কভিড নিয়ন্ত্রণে এসেছে একমাত্র লকডাউনের পথ ধরে। আমরা তাই করতে চাই। বাংলাদেমের অর্থনীতি, মানুষের জীবন রক্ষায়  লকডাউনকে সমর্থন করছে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী।

লকডাউনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়লেও জীবন রক্ষায় বিবেচনায় নিয়ে করোনার উর্ধমুখি সংক্রমণরোধে একমত পোষণ করেছেন দেশের অন্যতম বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়। বলেছেন, জীবন বেচে থাকলেই ব্যবসা বেচে থাকবে। করোনার যে উর্ধগতি সংক্রমণ তা রুখতে লকডাউনের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

ব্রযবসায়ী ফিকুল ইসলাম মিঠু

বাংলাদেশের জনপ্রশসান প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কঠোর লকডাউনে জরুরিসেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে। তবে অর্থবছর শেষ হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও হিসাব সংক্রান্ত কিছু অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন  বাস্তবায়ন করবে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চাচ্ছি, ঈদের আগেই লকডাউনের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণের লাগাম টানতে।

শনিবারও দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৫৩ জনে। শুক্রবার ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আরও ৪ হাজার ৩৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৮ জনে।

ব্যবসায়ী হাসান জাফরী চৌধুরী

ব্যবসায়ীরা রফিকুল ইসলাম মিঠু বলেন, তারা গত বার লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী লকডাউনের বিরোধীতা করেছেন। কিন্তু এবারে তা করার পথ নেই। জীবন রক্ষায় ব্যবসায়ী সমাজ এখন এক ছাতার তলায়।

অপর ব্যবসায়ী হাসান জাফরী চৌধুরী বলেন, তিনি গত বছর সাত লাখ টাকার ওপরে লোকসান গুণেছেন। চলতি বছরের কয়েক মাসে লাখ তিনেক টাকার গচ্ছা দিয়ে ফেলেছেন। তারপরও এবারে লকডাউন কার্যকরের পক্ষে। কারণ, জীবন রক্ষার জন্যই সরকারের এই পদক্ষেপ। আমরা চাই যে কোন মূল্যে লকডাউন কার্যকরে সরকার কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিৎ।