ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের পাণ্ডা ছালেহসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩ ৭২ বার পড়া হয়েছে

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পাণ্ডা ছলে : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পাণ্ডা ছলে অপরাধ সংঘটিত করেই মায়ানমারে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা তালিকায় তার নাম নেই। একারণে অফরাধ করে এতোদিন নিরাপদেই ছিল এই ছলে

 

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার বাস্তুচ্যূত এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়।

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ মানব পাচার, মাদক, ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এসব রোহিঙ্গা অপরাধীরা টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে নিরাপদ আস্তানা গড়ে তোলে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পাণ্ডা ছলে অপরাধ সংঘটিত করেই মায়ানমারে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা তালিকায় তার নাম নেই। একারণে অফরাধ করে এতোদিন নিরাপদেই ছিল এই ছলে।

র‌্যাব জানায়, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ছালেহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা

র‌্যাব জানায়, বাংলাদেশ থেকে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে মানবপাচারে জড়িত এই ছলে বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও ছলের নাম রোহিঙ্গা তালিকায় না থাকায় তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে কক্সবাজারে অপহরণ, মুক্তিপণ ও ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছিল। এসব ঘটনায় কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ ও সদর দপ্তরের গোয়েন্দাদল দীর্ঘ নজরদারি চালায়।

তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন। কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ছলে উদ্দীন এবং তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, কক্সবাজারে এসব ঘটনায় জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন। আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পর দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছলে। ছলের গ্রুপে অপহরণ বাণিজ্যে জড়িত ১০ থেকে ১৫ জন। কক্সবাজারের গহীন পাহাড়ে ছলের আস্তানাও রয়েছে।

মিয়ানমার থেকে দেশে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা থাকলেও সরকারিভাবে ছলের কোনো নামের তালিকা পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ছলে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা নয়। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই ছলে ও তার দলবল মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়।

সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণের ঘটনার প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা রয়েছে এই ছলের। আরসা নেতা আতাউল্লাহর নির্দেশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে অবস্থান করে ছলে বাহিনী। সেখানেই অপহৃতদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা হতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কক্সবাজারে অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের পাণ্ডা ছালেহসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পাণ্ডা ছলে অপরাধ সংঘটিত করেই মায়ানমারে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা তালিকায় তার নাম নেই। একারণে অফরাধ করে এতোদিন নিরাপদেই ছিল এই ছলে

 

অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার বাস্তুচ্যূত এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়।

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ মানব পাচার, মাদক, ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এসব রোহিঙ্গা অপরাধীরা টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে নিরাপদ আস্তানা গড়ে তোলে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।

অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পাণ্ডা ছলে অপরাধ সংঘটিত করেই মায়ানমারে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা তালিকায় তার নাম নেই। একারণে অফরাধ করে এতোদিন নিরাপদেই ছিল এই ছলে।

র‌্যাব জানায়, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ছালেহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা

র‌্যাব জানায়, বাংলাদেশ থেকে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে মানবপাচারে জড়িত এই ছলে বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও ছলের নাম রোহিঙ্গা তালিকায় না থাকায় তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে কক্সবাজারে অপহরণ, মুক্তিপণ ও ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছিল। এসব ঘটনায় কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ ও সদর দপ্তরের গোয়েন্দাদল দীর্ঘ নজরদারি চালায়।

তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন। কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ছলে উদ্দীন এবং তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, কক্সবাজারে এসব ঘটনায় জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন। আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পর দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছলে। ছলের গ্রুপে অপহরণ বাণিজ্যে জড়িত ১০ থেকে ১৫ জন। কক্সবাজারের গহীন পাহাড়ে ছলের আস্তানাও রয়েছে।

মিয়ানমার থেকে দেশে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা থাকলেও সরকারিভাবে ছলের কোনো নামের তালিকা পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ছলে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা নয়। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই ছলে ও তার দলবল মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়।

সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণের ঘটনার প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা রয়েছে এই ছলের। আরসা নেতা আতাউল্লাহর নির্দেশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে অবস্থান করে ছলে বাহিনী। সেখানেই অপহৃতদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা হতো।