কক্সবাজারের তুলনায় ভাসানচর ভালো রাষ্ট্রপুঞ্জ

- আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১ ২১৫ বার পড়া হয়েছে
বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জের দুই কর্মকর্তা
প্রথমদিকে বিরোধিতা করলেও এখন ভাসানচর নিয়ে প্রশংসায় ভাসছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভাসানচর পরিদর্শন শেষে বুধবার বিদেশমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের দৃষ্টিতে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ভালো।
বুধবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের সঙ্গে তুলনা করলে ভাসানচর বেশ ভালো এবং সেখানে রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে অবস্থান করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসা উচিত।

রবিবার মাজাও এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সুরক্ষা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস ঢাকায় আসেন। সোমবার তারা ভাসানচর পরিদর্শনে যান। সেখানে তখন কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের সামনে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন।
ভাসানচরের বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাউফ বলেন, সেখানে সরকার বিনিয়োগ করেছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজারের জীবনযাত্রার সঙ্গে তুলনা করলে সেটি অনেক ভালো। মি. রাউফ আরও বলেন, তবে একটি দ্বীপে বাস করলে বিছিন্নতাবোধ কাজ করে। সে কারণে তাদের জন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করতে হবে।
রাউফ মাজাও বলেন, রোহিঙ্গারা যেন বসে না থাকে এবং ভাসানচর একটা সুযোগ, যা কাজে লাগাতে হবে। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, তাদের ফেরত পাঠানো।
রাষ্ট্রপুঞ্জ খুব শিগগিরই ভাসানচরে যুক্ত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মাজাও বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা সব সময় সরকারের সঙ্গে কাজ করি। কক্সবাজারসহ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকবো।
বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেছি। চার বছর ধরে তারা বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। এর প্রতিফলন দেখা গেছে, যখন তারা বিক্ষোভ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের বলেছি, রাখাইনে জোর দিতে এবং সেখানে বিভিন্ন প্রকল্প রোহিঙ্গাদের দেখাতে, যেন তারা ফেরত যেতে উৎসাহিত হয়। মায়ানমারের মিলিটারির সঙ্গে আলোচনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এখন মায়ানমার সরকার কথা শুনবে এবং ফেরত যাওয়ার একটি পথ তৈরি হবে।