ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান পেতে আবেদনের সময় বাড়ল, অনুদানের প্রস্তাব সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড, চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ তাইওয়ানে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা ছদ্মবেশে ভারতে পালাতে গিয়ে আটক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দিল সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৩ জনের চাকরি পূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যা বললো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ও হাতে বাঙালির রক্ত লেগে আছে, ও হাত আমি স্পর্শ করতে পারব না

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

‘ও হাতে বাঙালির রক্ত লেগে আছে, ও হাত আমি স্পর্শ করতে পারব না। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে একমাত্র একজন মহানায়কই এমন সাহসী উক্তি উচ্চারণ করতে পারেন। নিজের দেশকে ও নিজের মানুষদের ব্যক্তি ও পরিবারের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেই মৃত্যুকে জয় করে স্বাধীনতা ও মুক্তির গান গাওয়া যায়’

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিকে পেশা বানিয়ে ফেলেছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কিন্তু রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে, তা ভেবে দেখতে হবে। আজ আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। এ সময়ে রাজনীতিতে অনেক চড়াই-উৎরাই ঘটেছে। বুধবার বিকালে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ বড়- এটাই হচ্ছে রাজনীতির মূল আদর্শ। কিন্তু আজকাল যেন রাজনীতি উল্টো পথে হাঁটছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনীতি আর পেশা এক জিনিস নয়। পেশার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের ও পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। আর রাজনীতি হচ্ছে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার একটি মহান ক্ষেত্র। তাই রাজনীতিকে পেশা মনে করলে দেশ ও জনগণের কথা ভুলে নিজের ও পরিবারের গণ্ডির মধ্যেই ঘুরপাক খেতে হবে।

রাজনীতিবিদদের দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকীর এই দিনে তাই আমি রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাবো, আসুন বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বা ভোগ-বিলাস কোনো কিছুই তাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু চাইলেই বিত্ত-বৈভবে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি অবলীলায় এসব প্রত্যাখ্যান করে দেশ ও জনগণের অর্থাৎ বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বার্থকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পাকিস্তান জেলে থাকাকালীন ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুকে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও জেনারেল আকবরের সামনে হাজির করা হয়। ইয়াহিয়ার ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধু তার কাছে এসে প্রাণের ভয়ে নরম হয়ে যাবেন এবং সেই সুযোগে তার কাছ থেকে আপসের প্রস্তাব পাওয়া যাবে। তিনি এই মানসে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন বঙ্গবন্ধুর দিকে।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু বললেন, দুঃখিত, ও হাতে বাঙালির রক্ত লেগে আছে, ও হাত আমি স্পর্শ করতে পারব না। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে একমাত্র একজন মহানায়কই এমন সাহসী উক্তি উচ্চারণ করতে পারেন। নিজের দেশকে ও নিজের মানুষদের ব্যক্তি ও পরিবারের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেই মৃত্যুকে জয় করে স্বাধীনতা ও মুক্তির গান গাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের মহানায়ক উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, পৃথিবী আলোকিত করার জন্য প্রকৃতির নিয়মে পূবাকাশে সূর্য উঠেছিল ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। সেদিন বাঙালি জাতির জন্য সোনালি আভা নিয়ে আরেকটি সূর্য উঠেছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়, সে সূর্যের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যে সূর্যের উজ্জ্বল ও প্রখর রোদ এসে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছিল একটি জাতিরাষ্ট্র, লাল-সবুজের একটি পতাকা ও একটি জাতীয় সংগীত। সাথে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঠাঁই করে দিয়েছিল বাঙালিকে, এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের নতুন ঠিকানা- বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়ক।

আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি ও রূপকার। ইতিহাসের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধুকে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। কোনো জাদুমন্ত্র বা মুরুব্বির ছোঁয়ায় তিনি ইতিহাসে স্থান পাননি। স্কুলজীবন থেকেই তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন, নিজের বই-খাতা, জামা কাপড়, ছাতা বিলিয়ে দিয়ে শুরু করেছেন আর নিজের জীবন দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন।

সঠিক ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ত্যাগ ও অসীম সাহসিকতার কথা সুবিদিত হয়ে থাকবে। জাতির পিতার আহ্বানে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তার সহকর্মী ছিলেন, তাকে সরাসরি দেখা ও জানার সুযোগ পেয়েছেন, তারা অধিকাংশই আজ বেঁচে নেই। যারা জীবিত আছেন সকলেই আজ জীবন সায়াহ্নে। তাই শতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার অমূল্য স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম বাঙালি জাতির গৌরব এবং পূর্বসূরীদের অসীম সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের অনন্য গাথা জানতে পারে এবং সেই আলোকে নিজেদের আলোকিত করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

অতিথির বক্তব্য অংশে প্রচার করা হয় চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, খ্যাতিমান সাংবাদিক মার্ক টালির ধারণকৃত ভিডিও বার্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ও হাতে বাঙালির রক্ত লেগে আছে, ও হাত আমি স্পর্শ করতে পারব না

আপডেট সময় : ১২:০৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

‘ও হাতে বাঙালির রক্ত লেগে আছে, ও হাত আমি স্পর্শ করতে পারব না। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে একমাত্র একজন মহানায়কই এমন সাহসী উক্তি উচ্চারণ করতে পারেন। নিজের দেশকে ও নিজের মানুষদের ব্যক্তি ও পরিবারের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেই মৃত্যুকে জয় করে স্বাধীনতা ও মুক্তির গান গাওয়া যায়’

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিকে পেশা বানিয়ে ফেলেছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কিন্তু রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে, তা ভেবে দেখতে হবে। আজ আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। এ সময়ে রাজনীতিতে অনেক চড়াই-উৎরাই ঘটেছে। বুধবার বিকালে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ বড়- এটাই হচ্ছে রাজনীতির মূল আদর্শ। কিন্তু আজকাল যেন রাজনীতি উল্টো পথে হাঁটছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনীতি আর পেশা এক জিনিস নয়। পেশার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের ও পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। আর রাজনীতি হচ্ছে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার একটি মহান ক্ষেত্র। তাই রাজনীতিকে পেশা মনে করলে দেশ ও জনগণের কথা ভুলে নিজের ও পরিবারের গণ্ডির মধ্যেই ঘুরপাক খেতে হবে।

রাজনীতিবিদদের দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকীর এই দিনে তাই আমি রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাবো, আসুন বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বা ভোগ-বিলাস কোনো কিছুই তাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু চাইলেই বিত্ত-বৈভবে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি অবলীলায় এসব প্রত্যাখ্যান করে দেশ ও জনগণের অর্থাৎ বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বার্থকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পাকিস্তান জেলে থাকাকালীন ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুকে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও জেনারেল আকবরের সামনে হাজির করা হয়। ইয়াহিয়ার ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধু তার কাছে এসে প্রাণের ভয়ে নরম হয়ে যাবেন এবং সেই সুযোগে তার কাছ থেকে আপসের প্রস্তাব পাওয়া যাবে। তিনি এই মানসে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন বঙ্গবন্ধুর দিকে।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু বললেন, দুঃখিত, ও হাতে বাঙালির রক্ত লেগে আছে, ও হাত আমি স্পর্শ করতে পারব না। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে একমাত্র একজন মহানায়কই এমন সাহসী উক্তি উচ্চারণ করতে পারেন। নিজের দেশকে ও নিজের মানুষদের ব্যক্তি ও পরিবারের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেই মৃত্যুকে জয় করে স্বাধীনতা ও মুক্তির গান গাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের মহানায়ক উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, পৃথিবী আলোকিত করার জন্য প্রকৃতির নিয়মে পূবাকাশে সূর্য উঠেছিল ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। সেদিন বাঙালি জাতির জন্য সোনালি আভা নিয়ে আরেকটি সূর্য উঠেছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়, সে সূর্যের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যে সূর্যের উজ্জ্বল ও প্রখর রোদ এসে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছিল একটি জাতিরাষ্ট্র, লাল-সবুজের একটি পতাকা ও একটি জাতীয় সংগীত। সাথে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঠাঁই করে দিয়েছিল বাঙালিকে, এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের নতুন ঠিকানা- বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়ক।

আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি ও রূপকার। ইতিহাসের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধুকে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। কোনো জাদুমন্ত্র বা মুরুব্বির ছোঁয়ায় তিনি ইতিহাসে স্থান পাননি। স্কুলজীবন থেকেই তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন, নিজের বই-খাতা, জামা কাপড়, ছাতা বিলিয়ে দিয়ে শুরু করেছেন আর নিজের জীবন দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন।

সঠিক ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ত্যাগ ও অসীম সাহসিকতার কথা সুবিদিত হয়ে থাকবে। জাতির পিতার আহ্বানে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তার সহকর্মী ছিলেন, তাকে সরাসরি দেখা ও জানার সুযোগ পেয়েছেন, তারা অধিকাংশই আজ বেঁচে নেই। যারা জীবিত আছেন সকলেই আজ জীবন সায়াহ্নে। তাই শতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার অমূল্য স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম বাঙালি জাতির গৌরব এবং পূর্বসূরীদের অসীম সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের অনন্য গাথা জানতে পারে এবং সেই আলোকে নিজেদের আলোকিত করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

অতিথির বক্তব্য অংশে প্রচার করা হয় চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, খ্যাতিমান সাংবাদিক মার্ক টালির ধারণকৃত ভিডিও বার্তা।