ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এলাকাবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনিরুদ্ধ

শিক্ষানুরাগী বাবা আবুল কাশেম ছিলেন, কলাপড়া পাঁচনিয়া মাধ্যমিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। সন্তানদের লেখাপড়ার যাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য ১৯৭৮ সালে পটুয়াখালী শহরে বাড়ি করেন। সন্তানেরা সেখানে থেকেই লেখাপড়া করেন এবং যথারীতি তিন সন্তান সর্বোচ্চ শিক্ষালাভ করেন। তিন ভাইয়ের একজন প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্বাবিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ ( আইইবি)।

এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের যেকোন সমস্যায় প্রয়াত বাবা তাদের পাশে দাঁড়াতেন। শৈশব থেকে তা দেখেই বড় হয়েছেন প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন। বাবা আবুল কাশেম এলাকাবাসীর বড়ই আপনজন ছিলেন। একজন সমৃদ্ধ কৃষক হিসাবে তার কোন অভাব ছিল না। এলাকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তোলার বিকল্প নেই।

প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন

চোখে মুখে তার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। তিনি মনে করেন, আমাদের সবাইকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হলে তার সুফল ভোগ করবে গোটা জাতি। বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বিশ্ববাসী তাকিয়ে দেখছে, এটা আমাদের গর্ব। এই ভাবনার মানুষটির  নাম প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন।

নাসির উদ্দিন দেখেছেন, বাবা ছিলেন জনদরদী। সময়ে অসময়ে মানুষের জন্য নানা কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। সবটাই মানুষের কল্যাণের জন্য। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই নাসির উদ্দীন এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের দিকে দু’বাহু বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সমস্যা দেখলে তিনি মানুষিক যন্ত্রণা অনুভূব করেন। তিনি পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনে দীপ জ্বালাতে চান।

নাসির উদ্দীন বলেন, বাবা সব সময় বলতেন, এলাকার দুঃখী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে। বাবার এই নির্দেশকে আর্শিবাদ মনে করে মানবসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন এই প্রকৌশলী। এলাকার বেড়িবাধ, নদী ভাঙ্গন, শিক্ষা-সংস্কৃতি সব বিষয়েই আলোচনায় ওঠে আসে। সদালাপী বন্ধুবাৎসল সমাজসেবী নাসির উদ্দীন সুস্থ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ছাত্রজীবন থেকেই। কর্মজীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, আজীবন ফোলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ ( আইইবি)।

নাসির উদ্দীন বলেন, জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি অর্থনৈতিক মুক্তি। শেখ হাসিনার ডাকে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে চলেছি।

বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা রোল মডেল। আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ, পোষক শিল্পের সমৃদ্ধি, ইউরোপে তৈরি পোষাক রপ্তানি, কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি ইত্যাদি নজির গড়েছে। কিসিঞ্জার আজ বেচে থাকলে বাংলাদেশ নিয়ে তার মন্তব্যের জন্য লজ্জা পেতো উল্লেখ করে নাসির উদ্দীন বলেন, সমালোচনা নয়, আসুন হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করি। আমাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, তাতে আমাদেরও অংশ নিতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এলাকাবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন

আপডেট সময় : ১১:৪২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

অনিরুদ্ধ

শিক্ষানুরাগী বাবা আবুল কাশেম ছিলেন, কলাপড়া পাঁচনিয়া মাধ্যমিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। সন্তানদের লেখাপড়ার যাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য ১৯৭৮ সালে পটুয়াখালী শহরে বাড়ি করেন। সন্তানেরা সেখানে থেকেই লেখাপড়া করেন এবং যথারীতি তিন সন্তান সর্বোচ্চ শিক্ষালাভ করেন। তিন ভাইয়ের একজন প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্বাবিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ ( আইইবি)।

এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের যেকোন সমস্যায় প্রয়াত বাবা তাদের পাশে দাঁড়াতেন। শৈশব থেকে তা দেখেই বড় হয়েছেন প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন। বাবা আবুল কাশেম এলাকাবাসীর বড়ই আপনজন ছিলেন। একজন সমৃদ্ধ কৃষক হিসাবে তার কোন অভাব ছিল না। এলাকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তোলার বিকল্প নেই।

প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন

চোখে মুখে তার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। তিনি মনে করেন, আমাদের সবাইকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হলে তার সুফল ভোগ করবে গোটা জাতি। বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বিশ্ববাসী তাকিয়ে দেখছে, এটা আমাদের গর্ব। এই ভাবনার মানুষটির  নাম প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন।

নাসির উদ্দিন দেখেছেন, বাবা ছিলেন জনদরদী। সময়ে অসময়ে মানুষের জন্য নানা কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। সবটাই মানুষের কল্যাণের জন্য। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই নাসির উদ্দীন এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের দিকে দু’বাহু বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সমস্যা দেখলে তিনি মানুষিক যন্ত্রণা অনুভূব করেন। তিনি পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনে দীপ জ্বালাতে চান।

নাসির উদ্দীন বলেন, বাবা সব সময় বলতেন, এলাকার দুঃখী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে। বাবার এই নির্দেশকে আর্শিবাদ মনে করে মানবসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন এই প্রকৌশলী। এলাকার বেড়িবাধ, নদী ভাঙ্গন, শিক্ষা-সংস্কৃতি সব বিষয়েই আলোচনায় ওঠে আসে। সদালাপী বন্ধুবাৎসল সমাজসেবী নাসির উদ্দীন সুস্থ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ছাত্রজীবন থেকেই। কর্মজীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, আজীবন ফোলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ ( আইইবি)।

নাসির উদ্দীন বলেন, জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি অর্থনৈতিক মুক্তি। শেখ হাসিনার ডাকে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে চলেছি।

বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা রোল মডেল। আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ, পোষক শিল্পের সমৃদ্ধি, ইউরোপে তৈরি পোষাক রপ্তানি, কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি ইত্যাদি নজির গড়েছে। কিসিঞ্জার আজ বেচে থাকলে বাংলাদেশ নিয়ে তার মন্তব্যের জন্য লজ্জা পেতো উল্লেখ করে নাসির উদ্দীন বলেন, সমালোচনা নয়, আসুন হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করি। আমাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, তাতে আমাদেরও অংশ নিতে হবে।