‘বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়। অথচ রফতানি হয় মাত্র কয়েকশ’ মেট্রিক টন’
প্রতি বছর কমপক্ষে ১ লাখ মেট্রিক টন আম রপ্তানির নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, এজন্য নিজেদের তৈরি করা এবং সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের
মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের জন্য কৃষি মন্ত্রক ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে
হর্টেক্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আম রফতানি বৃদ্ধির জন্য আমের উন্নত ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়। অথচ রফতানি হয় মাত্র কয়েকশ’ মেট্রিক টন। বছরে এক লাখ টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমাদের কাজ ৎ
করতে হবে। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন, রোডম্যাপ প্রণয়ন ও আমের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বিভিন্ন বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমের রফতানি বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। রফতানির বাধাসমূহ চিহ্নিত করে তা নিরসনে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নিরাপদ আমের নিশ্চয়তা দিতে ৩টি ভ্যাকুয়াম
হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। উৎপাদন থেকে শিপমেন্ট পর্যন্ত আম নিরাপদ রাখতে উত্তম কৃষিচর্চা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ চলছে। এর
ফলে চলতি বছর গত বছরের তুলনায় আম রফতানি ৫ গুণ বেড়েছে। আগামীতে অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। বিশেষ
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং এনএটিপি-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান প্রমুখ।