এক মায়ের আর্তনাদ!

- আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ ২৭৬ বার পড়া হয়েছে
চারিদিকে একটা ঘুমোট আবহাওয়া। পরিবেশটাই বলে দিচ্ছে, মহামারিকাল! কানপাতলেই শোনা যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সের পিলে চমকালো সাইরেন। এই বুঝি আবার কেউ আক্রান্ত বা কোন ডেড বডি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি কাউকে কোন কিছু বলে দিতে হয় না। পরিষ্কার বোঝা যায়।
একটু আগেই ফোন কলে এক মায়ের আর্তনাদ ভেসে আসলো। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বললো, এক্ষুনি অক্সিজেন লাগবে গো দিদি। আঠারো বছরের একমাত্র ছেলে কোভিড আক্রান্ত! আঠারো বছর বয়সের তরতাজা ছেলেটি কাতরাচ্ছে! তা দেখে কি মায়ের মনে ঝড় বয়ে যায় না? একমাত্র নাড়িকাটা ধন। তার বয়সও হয়েছে। সন্তানের সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু অক্সিজেন চাই তার!
অমনি হাজারো মা-বোনের আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠছে ভারতের বাতাস। এখানে শান্তনার বাণী অচল। বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি নতুন করে বলার নেই। গোটা বিশ্ব তা দেখছে। ভারতের মৃত্যু ও আক্রান্ত’র মিছিল এখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম।
প্রতিনিয়ত আক্রান্ত-মৃত্যুর খবরে মানুষ ওমনিতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ভারতের এই দুর্দিনে বিশ্বের অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। বৃটেন আস্ত বিমানযোগে অক্সিজেন প্লান্ট পাঠিয়েছে।
রেড ভলান্টিয়ার এই মুহুর্তে পশ্চিম বাংলার প্রতিটি জেলায় দুর্দান্ত কাজ করছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত ফোন নম্বর নিজে কথা বলে নিলাম একটি নির্দিষ্ট নম্বরে।
অবাক হলাম এই ভেবে যে, ভোট সর্বস্ব রাজনীতির এই দেশ, রাজ্য ও সর্বপরি এইকালে প্রায় শুন্য হয়ে যাওয়া লাল পার্টির উদ্যমী একদল যুবক/যুবতীরা ভয়হীনভাবে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কবিতার লাইন ‘মানুষ বড় কাঁদছে’র মত করে মানুষের পাশে এসে, কাছ ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে তারা। এর কোন প্রতিদান হয়না।
ভাষাহীন মানুষ। কর্ম দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে শক্তির দেওয়াল তুলে দাঁড়ানোকে কি বলবো? এটাতো মেপে দেখার বিষয় নয়।
সাবাস লাল ভলান্টিয়ার্স! সত্যিই, মানুষের থেকে মানুষের দুরত্বের এহেনো ইথারের ঘনত্বের মধ্যেও তোমাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি অসহায় মানুষকে সাহস জুগিয়েছে।
তারা বাচার সিড়ি পেয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামীর দিনগুলো মানুষের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে, সেই কথা শিখিয়ে যাচ্ছেন তারা।
