ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এক মসজিদের সিন্দুকেই মিললো ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ ১১৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক মসজিদের দান বাক্সেই মিললো ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এটি কিশোরগঞ্জের গাগলা মসজিদ নামে খ্যাত। ৪ মাস ২৬ দিন পর খোলা হয়েছে মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এরপর গুণে দেখা যায়, ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে স্থাপিত দুই শতাব্দী প্রাচীন মসজিদটি দেশজুড়ে পরিচিত।

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে রয়েছে অনেক জনশ্রুতি। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে আসেন। এখানের মানতের টাকা দান করেন আশা পূরণের আশায়।

পাশাপাশি প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতিও নিয়ে আসেন। সেগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেয়া হয়। নানা সম্প্রদায়ের লোকজনও মসজিদে এসে দান ও মানত করেন। মসজিদের সিন্দুকে টাকা ছাড়াও দান করা হয় স্বর্ণালংকার।

এ মসজিদটিতে আটটি লোহার সিন্দুক দান বাক্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতি তিন মাস পরপর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। কিন্তু করোনার কারণে প্রায় পাঁচ মাস পর শনিবার সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মাহমুদুল হাসান, মো. ইব্রাহিম, মো. উবাইদুর রহমান সোহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো: শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখের তত্ত্বাবধানে প্রথমে মসজিদ প্রাঙ্গণে রক্ষিত সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

মসজিদের এই বিপুল সংখ্যক দানের টাকা স্থানীয় রূপালী ব্যাংক শাখায় জমা হয়। মসজিদ ফান্ড থেকে এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, কারো জটিল রোগের চিকিৎসায় অনুদান প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিলো গত ২৩ জানুয়ারি। সে সময় দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিলো ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। তাছাড়া বরাবরের মতো এবারও পাওয়া গিয়েছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণাংলকার।

এদিন দানবাক্সের টাকা বাছাইয়ের কাজে অংশ নেয়, মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, মসজিদ কমিটির লোকজন। বাছাইয়ের পর টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। এরপর রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ টাকাগুলো গুনে বুঝে নেন। প্রতিবার সিন্দুক খোলার পর প্রাপ্ত টাকা গণনা শেষে রূপালী ব্যাংকের হিসাবে জমা দেয়া হয়।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো: শওকত উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, পাগলা মসজিদের ফান্ড থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণমূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ অনুদান দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এক মসজিদের সিন্দুকেই মিললো ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ০৬:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

এক মসজিদের দান বাক্সেই মিললো ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এটি কিশোরগঞ্জের গাগলা মসজিদ নামে খ্যাত। ৪ মাস ২৬ দিন পর খোলা হয়েছে মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এরপর গুণে দেখা যায়, ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে স্থাপিত দুই শতাব্দী প্রাচীন মসজিদটি দেশজুড়ে পরিচিত।

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে রয়েছে অনেক জনশ্রুতি। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে আসেন। এখানের মানতের টাকা দান করেন আশা পূরণের আশায়।

পাশাপাশি প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতিও নিয়ে আসেন। সেগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেয়া হয়। নানা সম্প্রদায়ের লোকজনও মসজিদে এসে দান ও মানত করেন। মসজিদের সিন্দুকে টাকা ছাড়াও দান করা হয় স্বর্ণালংকার।

এ মসজিদটিতে আটটি লোহার সিন্দুক দান বাক্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতি তিন মাস পরপর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। কিন্তু করোনার কারণে প্রায় পাঁচ মাস পর শনিবার সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মাহমুদুল হাসান, মো. ইব্রাহিম, মো. উবাইদুর রহমান সোহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো: শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখের তত্ত্বাবধানে প্রথমে মসজিদ প্রাঙ্গণে রক্ষিত সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

মসজিদের এই বিপুল সংখ্যক দানের টাকা স্থানীয় রূপালী ব্যাংক শাখায় জমা হয়। মসজিদ ফান্ড থেকে এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, কারো জটিল রোগের চিকিৎসায় অনুদান প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিলো গত ২৩ জানুয়ারি। সে সময় দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিলো ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। তাছাড়া বরাবরের মতো এবারও পাওয়া গিয়েছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণাংলকার।

এদিন দানবাক্সের টাকা বাছাইয়ের কাজে অংশ নেয়, মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, মসজিদ কমিটির লোকজন। বাছাইয়ের পর টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। এরপর রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ টাকাগুলো গুনে বুঝে নেন। প্রতিবার সিন্দুক খোলার পর প্রাপ্ত টাকা গণনা শেষে রূপালী ব্যাংকের হিসাবে জমা দেয়া হয়।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো: শওকত উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, পাগলা মসজিদের ফান্ড থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণমূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ অনুদান দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।