ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এক নারী ডাক্তারের ভাষ্য উইঘুরদের সংখ্যা হ্রাসে চীনে চলছে নারীদেহে অস্ত্রোপচার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৫০৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত এলাকা জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বংশবৃদ্ধি রোধে নারীদেহে বলপূর্বক অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্বাসনে অবস্থানরত এক উইঘুর নারী চিকিৎসক এ তথ্য প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে জাস্ট আর্থ নিউজ। বার্তা সংস্থাটি জানায়, ওই নারী ডাক্তার এখন তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীতে বাস করেন। উইঘুর মুসলিমদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত উইঘুর মুসলমানরা প্রধানত জিনজিয়াং প্রদেশের অধিবাসী।
তাদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। আইটিভির খবরে বলা হয়, এর মধ্যে ১০ লক্ষাধিক নারী-পুরুষকে ‘পুনঃ শিক্ষা’ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে গবেষকদের ধারণা। এ ক্যাম্পগুলো বন্দীশিবিরের মতোই। ‘ভাইস’ নামের নিউজ পোর্টাল জানায়, জিনজিয়াং থেকে ফাঁস হওয়া সংবাদে বলা হয়েছে, সেখানে চলছে সরকারের কড়া নজরদারি, ধর্মের কারণে নিপীড়ন, ক্যাম্পবাসীদের শ্রমদানে বাধ্যকরণ এবং জোরপূর্বক রাজনৈতিক দীক্ষিতকরণ। নারী চিকিৎসক চ্যানেল আইটিভিকে বলেছেন, তিনি নিজেই ৫০০ থেকে ৬০০ উইঘুর নারীর অপারেশন করেন। জোরপূর্বক জন্মনিরোধ, গর্ভপাত ঘটানো ও জরায়ু অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেন তিনি।
তিনি বলেন, একবার তো একটি শিশুকে মায়ের পেট থেকে সরিয়ে জঞ্জালের স্তূপে ছুড়ে ফেলার পরও সে নড়াচড়া করছিল। চীনের দমনপীড়নে অস্থির হয়ে পালানো প্রায় ৫০ হাজার উইঘুর মুসলিম এখন তুরস্কে বাস করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এক নারী ডাক্তারের ভাষ্য উইঘুরদের সংখ্যা হ্রাসে চীনে চলছে নারীদেহে অস্ত্রোপচার

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত এলাকা জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বংশবৃদ্ধি রোধে নারীদেহে বলপূর্বক অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্বাসনে অবস্থানরত এক উইঘুর নারী চিকিৎসক এ তথ্য প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে জাস্ট আর্থ নিউজ। বার্তা সংস্থাটি জানায়, ওই নারী ডাক্তার এখন তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীতে বাস করেন। উইঘুর মুসলিমদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত উইঘুর মুসলমানরা প্রধানত জিনজিয়াং প্রদেশের অধিবাসী।
তাদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। আইটিভির খবরে বলা হয়, এর মধ্যে ১০ লক্ষাধিক নারী-পুরুষকে ‘পুনঃ শিক্ষা’ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে গবেষকদের ধারণা। এ ক্যাম্পগুলো বন্দীশিবিরের মতোই। ‘ভাইস’ নামের নিউজ পোর্টাল জানায়, জিনজিয়াং থেকে ফাঁস হওয়া সংবাদে বলা হয়েছে, সেখানে চলছে সরকারের কড়া নজরদারি, ধর্মের কারণে নিপীড়ন, ক্যাম্পবাসীদের শ্রমদানে বাধ্যকরণ এবং জোরপূর্বক রাজনৈতিক দীক্ষিতকরণ। নারী চিকিৎসক চ্যানেল আইটিভিকে বলেছেন, তিনি নিজেই ৫০০ থেকে ৬০০ উইঘুর নারীর অপারেশন করেন। জোরপূর্বক জন্মনিরোধ, গর্ভপাত ঘটানো ও জরায়ু অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেন তিনি।
তিনি বলেন, একবার তো একটি শিশুকে মায়ের পেট থেকে সরিয়ে জঞ্জালের স্তূপে ছুড়ে ফেলার পরও সে নড়াচড়া করছিল। চীনের দমনপীড়নে অস্থির হয়ে পালানো প্রায় ৫০ হাজার উইঘুর মুসলিম এখন তুরস্কে বাস করেন।