একদিনে মৃত্যু আরও ১৩২, লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গ্রেফতার ৩২০
- আপডেট সময় : ১০:৩২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
‘অকারণে ঘরের বাইরে বেরুনো কেউ রেয়াত পাচ্ছে না’
বাংলাদেশের গোছানো পরিবেশটা করোনার আচমকা আঘাতে হঠাৎ এলামেলো হয়ে গিয়েছে। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর মধ্যে যে প্রতিযোগিতা! প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। বাড়ছে আক্রান্ত। হাসপাতালে খালি নেই আইসিইউ বেড। প্রত্যেকটি হাসপাতাল রোগীতে ঠাসা। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগীরা খুব একটা হাসপাতাল মুখো হতে পারছে না। নিজেদের কষ্ট হলেও বাড়ি বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। যদিও এতে পরিবারের তরফে বাড়তি ঝামেলা ও আশঙ্কা দুটোই সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবারও ১৩২ জনের মৃত্যুর বার্তা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জানালো এদিনের মৃত্যু দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার ১৪৩ জনের মৃত্যুই পনেরো মাসের রেকর্ড গড়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৭৭৮ জনে। এসময়ে আক্রান্ত সংখ্যা ৮ হাজার ৪৮৩।
করোনার পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশজুড়ে কঠোর কঠোর লকডাউন চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে ৩২০জন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অবিরাম বর্ষষমুখর দিনে ছুটির দিনে দ্বিতীয় দিনের কঠোর লকডাউন পার করলো ঢাকা। অবিরাম বর্ষণকে মাথায় নিয়ে রাস্তায় দায়িত্বে ছিলেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
লকডাউনে কোন রেয়াদ দিচ্ছে না অকারণ বাইরে আসা নাগরিকদের। পূর্ব ঘোষণা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীরা। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় লকডাউন ছিল অনেকটা নিরাপদ। তবে, শ্রম ঘণ এলাকা অর্থাৎ তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের যাওয়া আসায় ভোগান্তি বেড়েছে।
লকডাউনে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অকারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৩২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০৮ জনকে মোবাইল কোর্ট জরিমানা করেছে। ঢাকার মিরপুরে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার আওতায় নেওয়া হয়েছে অর্ধশত যানবাহনকে। এ সময় জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা ।
সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই পাল্টে গেছে রাজধানীর চিত্র। বৃষ্টির দিনে সড়ক একদম ফাঁকা। ঢাকার বাইরে থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে গিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ঢাকায় প্রবেশের যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে জরিমানা কিংবা মামলা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে।
চেকপোস্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট থানার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জরুরী সেবায় আওতায় যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে করেন। জরুরি প্রয়োজনে যারা সড়কে বেরিয়েছেন তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের। পুলিশ, বিজিবি, র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও ডিউটিতে দেখা গেছে।