ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্গম সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার পাহাড়ের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আইএসপিআর আট ব্যাংক নেবে ৯২২ সিনিয়র অফিসার সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনে চাকরি, পদ ৭৮ বন্যা কবলিত দেড় হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিল গুড নেইবারস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান পেতে আবেদনের সময় বাড়ল, অনুদানের প্রস্তাব সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড, চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ তাইওয়ানে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা

একদিনে আক্রান্ত আরও ৬ হাজার ৮৩০জন মৃত্যু অর্ধশত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

থামছে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধগতি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তথা ভাইরাসের কবল থেকে মানুষকে রক্ষায় মাঠে নেমেছে সরকার। গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সকল প্রকারের কর্মকান্ড, বিনোদন ও পর্যটন, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও গত ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী।

বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার আক্রান্তর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কোন হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না। যে সব হাসপাতালে কভিড ওয়ার্ড রয়েছে, তা পূরণ হয়ে গিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে রাতদিন ছুটোছুটি করেও একটি বিছানা মিলছে না।

করোনা পরীক্ষায় মাসখানেক আগে গা ঢিলে ভাব এখন উধাও। জলের বোতল ও ছাতা নিয়ে সাজসকালেই সকল হাসপাতাল ও কভিড ইউনিটে দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। ঘরে জ্বর-কাঁশি।

এ অবস্থায় শুক্রবার একদিনে আক্রান্তর সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩০জন। এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। একই সময়ে মারা গিয়েছেন ৫০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তায় এতথ্য জানা গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৩৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় আক্রান্তর হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বরোনা আক্রান্তর সংখ্যা মোট ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন। আর মারা গিয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জন। সুস্থতার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরোদমে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

২০১৯ সালের শেষ নাগাদ চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটির নাম পরিবর্তন করে নভেল করোনা (কভিড-১৯) হিসেবে চিহ্নিত করে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী আক্রান্তর ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

একদিনে আক্রান্ত আরও ৬ হাজার ৮৩০জন মৃত্যু অর্ধশত

আপডেট সময় : ০৭:০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

থামছে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধগতি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তথা ভাইরাসের কবল থেকে মানুষকে রক্ষায় মাঠে নেমেছে সরকার। গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সকল প্রকারের কর্মকান্ড, বিনোদন ও পর্যটন, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও গত ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী।

বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার আক্রান্তর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কোন হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না। যে সব হাসপাতালে কভিড ওয়ার্ড রয়েছে, তা পূরণ হয়ে গিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে রাতদিন ছুটোছুটি করেও একটি বিছানা মিলছে না।

করোনা পরীক্ষায় মাসখানেক আগে গা ঢিলে ভাব এখন উধাও। জলের বোতল ও ছাতা নিয়ে সাজসকালেই সকল হাসপাতাল ও কভিড ইউনিটে দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। ঘরে জ্বর-কাঁশি।

এ অবস্থায় শুক্রবার একদিনে আক্রান্তর সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩০জন। এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। একই সময়ে মারা গিয়েছেন ৫০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তায় এতথ্য জানা গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৩৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় আক্রান্তর হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বরোনা আক্রান্তর সংখ্যা মোট ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন। আর মারা গিয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জন। সুস্থতার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরোদমে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

২০১৯ সালের শেষ নাগাদ চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটির নাম পরিবর্তন করে নভেল করোনা (কভিড-১৯) হিসেবে চিহ্নিত করে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী আক্রান্তর ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।