একজন উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান মনি

- আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮২ বার পড়া হয়েছে

পিঠা বাংলার আবহমান কাল থেকেই ঐতিহ্যপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য। চালের গুঁড়ো, আটা, ময়দা, অথবা অন্য কোনও শস্যজাত গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। অঞ্চলভেদে পিঠের ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্য দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান তোলার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের ও পৌষ পার্বণের সময় বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে পিঠে তৈরির রেওয়াজ আদিকালের। মিষ্টি স্বাদের পিঠা ছাড়াও ঝাল, টক হরেকরকমের হয়ে থাকলে।
সময়ের পিঠ বেয়ে পিঠাশিল্পে বৈচিত্র্য এসেছে। নতুন নতুন পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। পিঠা নিয়ে এখন রীতিমত গবেষণা চলে। অনেক গৃহিনী নিজের মেধা দিয়ে নানা রকমের পিঠা তৈরি করে থাকেন এবং স্বজন নিয়ে তা উৎসব আমেজে পিঠা খাওয়ার আয়োজন করেন।
গ্রামীন জনপদে মেয়ের জামাইকে পিঠে দিয়ে আপ্যায়ন করা রেওয়া আদিকাল থেকেই। শহুরে জীবনেও এখন পিঠার অনেক গুরুত্ব বহন করে। ইটপাথরের নগরজীবনে জাতীয়ভাবে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রঙ্গণে এবারেও আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসবের।
শিল্পকলা একাডেমির দক্ষিণের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে কয়েক কদম হেটে গেলেই সার সার পিঠার স্টলের সামনে মাঠের দক্ষিন-পশ্চিম কোণায় নজরে এলো একটি সাজানো পালকি। এই পালকিও বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিক। এককালে পালকি ছাড়া বিয়েই হতো না। নতুন বর-কনেকে বহনের একমাত্র বাহন ছিলো পালকি।
এই পালকির পাশেই দেখা পালকি পিঠা ঘর। মুখে স্মিত হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, একজন ভদ্র মহিলা। এগিয়ে যেতেই দেখা তার পাশে নববধূর সাজে দাড়িয়ে বছর ছয়েকের এক শিশু। তার মাথায় টিকলি, পড়নে লাল শাড়ি। তার নামতে চাইলে চটপট উত্তর পালকি। আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মা নাট্যশিল্পী ও মডেল মনি জানালেন, হ্যা তার নাম পালকি। আর এই যে পালকি দেখতে পাচ্ছেন, এটিও আমাদের। তার নামেই স্টলের নাম পালকি।
পালকি স্টলে প্রায় ২০/২৫ ধরনের পিঠা রয়েছে। একটি পাত্রে সাজানো রয়েছে আপেল। একেবারে আপেলের মতো এটিও কি পিঠা? হেসে উত্তর দেন মনি, না এটি সুস্বাদু সন্দেশ। নিজে নিজে এটি তৈরি করেছেন। অনেক রকমের পিঠা তার মেধা দিয়েই করে থাকেন।
মনি জানালেন, আগামীতে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। পিঠাসহ অন্যান্য হাতে তৈরি পণ্য তৈরিতে সমাজের পিছিয়ে নারীদের কাছে লাগাতে চান। মনি তাদেরকে সামলম্বি হিসাবে গড়ে তোলতে চান। তার ভাবনা অর্থনৈতিক ভাবে নারীরা প্রতিষ্ঠিত হলেই সমাজ আরও এগিয়ে যাবে।