উৎসব আমেজে উদযাপন হচ্ছে বড়দিন

- আপডেট সময় : ১১:৩২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
গির্জায় গির্জায় শান্তি ও মানবতার বারতা নিয়ে উদযাপন হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। ২ হাজার ২৩ বছর আগে
খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে শুভ বড়দিন হিসাবে উদযাপন করে
থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার
মধ্যদিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করছেন। দিনঘিরে দেশজুড়ে গির্জায় গির্জায় আনন্দউৎসববে সকল ধর্মের মানুষের পদচারণায় মুখরিত
হয়ে ওঠেছে।

বড় দিনের আনন্দ-উৎসব ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্রিসমাস ডে উপলক্ষে
কাকরাইল চার্চে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে একথা জানালেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করে, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর
পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। এমনটিই বললেন, বাংলাদেশের প্রধান গির্জা সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালের প্রধান পুরোহিত, ফাদার আলবাট রোজারিও।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী
দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার
নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সকল শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এলক্ষ্য
অর্জনে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশ্বব্যাপী খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীগণ মহামতি যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনকে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে
থাকেন। খ্রিস্ট ধর্মানুসারে যিশু খ্রিস্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারী।
রবিবার রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বড়দিনের প্রার্থনা।