ঈদে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গিয়েছে কোটির বেশি মোবাইল সিম

- আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১ ২১৬ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
করোনার গত চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ১৫ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে কত মানুষ ঢাকা ছেড়ছেন, তার ধারণা মেলে স্বয়ং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের পরিসংখ্যান থেকে।
শুক্রবার বিকেলে চোখ কপালে ওঠার মত এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, একটু আগে ঢাকা থেকে যাওয়া ও আসা সিমের হিসাব পেলাম। অবিশ্বাস্য নয় যে ২২ জুলাই অবধি ১ কোটি ৪
লাখ ৯৪ হাজার ৬৮৩টি সিম ঢাকার বাইরে গেছে। অন্যদিকে ঈদের পরদিন ঢাকা ফিরেছে মাত্র ৮ লাখ ২০ হাজার ৫১৬টি সিম।
১জুলাই থেকে চলে আসা লকডাউন মাত্র ৮দিনের জন্য শিথিল করে সরকার। কোরবানির ঈদের সময় মাত্র ৮ দিনের বিরতিতে যারা বিভিন্নভাবে গাদাগাদি করে ঢাকা ছেড়েছিলেন, তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের এক কোটির বেশি সিম।

“আজকে থেকে শুরু হওয়া লকডাউন ও তার পরে কি হবে সেটি দেখার বিষয়। করোনায় এর কি প্রভাব পড়বে সেটাও দেখার বিষয়।”
গত রমজানের ঈদের আগে লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যেই ১২ দিনে ১ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৭টি সিম নিয়ে মানুষ ঢাকা ছাড়ার তথ্য দিয়েছিলেন মোস্তাফা জব্বার।
একটু আগে ঢাকা থেকে যাওয়া ও আসা সিমের হিসাব পেলাম। অবিশ্বাস্য নয় যে ২২ জুলাই অবধি ১ কোটি ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৮৩ টি সিম ঢাকার বাইরে গেছে। অন্যদিকে ঈদের পরদিন ঢাকা ফিরেছে মাত্র ৮ লাখ ২০ হাজার ৫১৬টি সিম। আজকে থেকে শুরু হওয়া লকডাউন ও তার পরে কি হবে সেটি দেখার বিষয়। করোনায় এর কি প্রভাব পড়বে সেটাও দেখার বিষয়।
ঢাকার জনসংখ্যা এখন প্রায় দুই কোটি। কত সিম ঢাকার বাইরে গেল, সেই সংখ্যাকে ব্যক্তির সংখ্যা হিসেবে ধরা ঠিক হবে না। একজন ব্যবহারকারী যেমন একাধিক সিম ব্যবহার করতে পারেন, তেমনি একটি সংযোগের সাথে পুরো পরিবার ৪ থেকে ৫ জনও যেতে পারেন।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী গত মে মাস পর্যন্ত দেশে ৪ অপারেটরের সক্রিয় সিমের সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৫২ লাখের বেশি।
করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ঊর্ধমুখি হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই লকডাউনে যায় দেশ। তখনও বহু মানুষ বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে ফেরিতে গাদাগাদি করে, কিংবা পণ্যের গাড়িতে লুকিয়ে ঢাকা ছাড়ে। অতিরিক্ত মানুষের চাপে ফেরিতে পদদলিত হয়ে ৫জন মারাও যান।
বিধিনিষেধ মানাতে ১৪ দিনে ঢাকায় ৯ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি, বরং শনাক্ত ও মৃত্যুর নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে।
তার মধ্যেই বাংলাদেশের মানুষ ঈদ করবে বলে লকডাউনের একসপ্তাহের বিরতি দিয়েছিলো সরকার। সেই ছুটি শেষে শুক্রবার আবার বিধিনিষেধ জারি হয়েছে সারা দেশে, যা ৫ অগাস্ট পর্যন্ত চলার কথা।