জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মানুষের সুবিধার্থে একটি ছাগলের হাট বসানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজারে ক্রেতা মোহাম্মদ ইয়াসিন ঈদুল আজহার আগে পশু কিনতে পেরে খুশি। তিনি বলেন, ‘আমাকে মন্ডিতে আসতে হবে। আপনি জানেন যে এ ঈদে
কোরবানি দেওয়া হয়। আমি কোরবানির বাজারে পশু দেখতে এসেছি। এখানকার বিক্রেতারা আনন্দের সঙ্গে পশু বিক্রি করছে এবং স্থানীয় লোকেরাও সেগুলো খুশিতে কিনছে।’
‘এখানে পশুর দাম দেখার দরকার নেই। কোরবানির সময় প্রাণীর সৌন্দর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোরবানিও গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরও আমরা দুদিন পরেই কোরবানি করব। আল্লাহর রহমত অর্জন করাই এ কোরবানির উদ্দেশ্য,’ তিনি যোগ করেন।
অন্য ক্রেতা মোহাম্মদ আমীন কঠোর পরিশ্রম করে পশু সংগ্রহ করা ও মন্ডিতে সেগুলো পরিবহনের জন্য লালন-পালনকারীদের প্রশংসা করেছেন। আমিন বলেন, ‘এ বছরও একটি সুন্দর মন্ডি দেখতে পারছি আমরা। পশুপালকরা কঠোর পরিশ্রম করে প্রাণী সংগ্রহ করেছেন এবং তাদের মণ্ডিতে নিয়ে এসেছেন। লোকেরা তাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী কিনছে’।
ঈদুল আজহা আগামীকাল ২১ জুলাই পালিত হবে। তবে এটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ঈদুল আজহা ‘কোরবানির উৎসব’ নামে পরিচিত। একটি পশু, সাধারণত একটি মেষ বা ছাগলকে আল্লাহর প্রতি তাদের ভক্তি ও ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্য কোরবানি করা হয়।
এর আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু জবাই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিষয়টি
স্পষ্ট করে জানায়, যে আগামী সপ্তাহে মুসলমানদের কোরবানির ঈদ উদযাপন উপলক্ষে পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। ‘এনিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অব ইন্ডিয়া’ এর দেওয়া যে চিঠিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে পশু সুরক্ষা আইনের আওতায় এটি প্রতিবছর করা হয়ে থাকে। সূত্র : এএনআই