ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপকূলের অনেক স্থানে এক বছর আগের আম্ফানের ছোঁবলের ছাপ স্পষ্ট। সেই ক্ষত না শুকাতেই ফের শক্তি ইয়াস আছড়ে পরার পিলে চমকালো বার্তা। আম্পান ছিলো সুপার সাইক্লোন। ইয়াস’র চরিত্রটাও একই রকম প্রায়।

ইয়াস খবরে সুন্দরবন এলাকার ভুবন মাঝি (ছদ্ম নাম) উদাস কণ্ঠে সুর ধরেন ‘বিধি রে দুই আমায় ছাড়া রঙ্গ করার মানুষ পেলি না’-। কিন্তু ক্ষুব্ধ প্রকৃতির ভুবণ মাঝির আবেদনে সারা নেই। পরিবেশবিদরা বলেন, প্রকৃতিকে নাকী আমরা ক্ষেপিয়ে তুলেছি। তার এখন প্রতিশোধ নেবার পালা। তাই ভুবন মাঝির গহিনের গান তাকে স্পর্শ করতে পারছে না!

আবহাওয়া বিজ্ঞানিদের বার্তা ২৬ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদই উড়িষ্যা উপকুলে আছড়ে পড়বে ক্ষ্যাপা ইয়াস। সমুদ্র উপকূলবতী এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। স্বেচ্ছাসেবীরা নেমে পড়েছে প্রচারণায়। উপকূল অতিক্রমের সময় তার গতিবেগ বেড়ে যাবে। ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারের ওপরে হতে পারে।

এর প্রভাবে সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে ভারী বৃষ্টিপাত। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় ১১০ কিমি বেগে বাতাস বইয়ে যাবার পূর্বাভাস রয়েছে। সমুদ্রের ঢেউ ২০ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠতে পারে। বুধবার যতই উপকূলের দিকে এগোনোর সঙ্গে গতিবেগও বাড়বে। সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর গতিবেগ ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলাদেশ যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। খুলনায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে ও জানমালের ক্ষতি প্রতিরোধে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার জানিয়েছেন, সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক করেছেন।

এবার মানুষের জানমাল রক্ষায় খুলনা জেলার নয় উপজেলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৩২৪টি স্থায়ী এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ ৭২৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) আগেভাগে মাইকিংয়ের জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে শুষ্ক খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, এনজিও, সিপিপি, ফায়ার সার্ভিসসহ সকলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ০৯:০৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

উপকূলের অনেক স্থানে এক বছর আগের আম্ফানের ছোঁবলের ছাপ স্পষ্ট। সেই ক্ষত না শুকাতেই ফের শক্তি ইয়াস আছড়ে পরার পিলে চমকালো বার্তা। আম্পান ছিলো সুপার সাইক্লোন। ইয়াস’র চরিত্রটাও একই রকম প্রায়।

ইয়াস খবরে সুন্দরবন এলাকার ভুবন মাঝি (ছদ্ম নাম) উদাস কণ্ঠে সুর ধরেন ‘বিধি রে দুই আমায় ছাড়া রঙ্গ করার মানুষ পেলি না’-। কিন্তু ক্ষুব্ধ প্রকৃতির ভুবণ মাঝির আবেদনে সারা নেই। পরিবেশবিদরা বলেন, প্রকৃতিকে নাকী আমরা ক্ষেপিয়ে তুলেছি। তার এখন প্রতিশোধ নেবার পালা। তাই ভুবন মাঝির গহিনের গান তাকে স্পর্শ করতে পারছে না!

আবহাওয়া বিজ্ঞানিদের বার্তা ২৬ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদই উড়িষ্যা উপকুলে আছড়ে পড়বে ক্ষ্যাপা ইয়াস। সমুদ্র উপকূলবতী এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। স্বেচ্ছাসেবীরা নেমে পড়েছে প্রচারণায়। উপকূল অতিক্রমের সময় তার গতিবেগ বেড়ে যাবে। ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারের ওপরে হতে পারে।

এর প্রভাবে সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে ভারী বৃষ্টিপাত। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় ১১০ কিমি বেগে বাতাস বইয়ে যাবার পূর্বাভাস রয়েছে। সমুদ্রের ঢেউ ২০ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠতে পারে। বুধবার যতই উপকূলের দিকে এগোনোর সঙ্গে গতিবেগও বাড়বে। সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর গতিবেগ ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলাদেশ যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। খুলনায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে ও জানমালের ক্ষতি প্রতিরোধে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার জানিয়েছেন, সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক করেছেন।

এবার মানুষের জানমাল রক্ষায় খুলনা জেলার নয় উপজেলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৩২৪টি স্থায়ী এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ ৭২৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) আগেভাগে মাইকিংয়ের জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে শুষ্ক খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, এনজিও, সিপিপি, ফায়ার সার্ভিসসহ সকলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।