ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাবে বিএজেপি: রফিকুল আমীন নিবন্ধন পেতে রোববার ইসিতে আবেদন করবে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি যোগব্যায়াম দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আত্মীয়তার স্থায়ী বন্ধন ইরানের সমর্থনে তেহরান-বাগদাদ-বৈরুতের রাজপথে মানবঢল ইরানে হামলা: ইসরায়েলকে দিয়ে নোংরা কাজ করাচ্ছেন ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার মব ভায়োলেন্স বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি সেনাবাহিনীর  শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস কবিতা: বর্ষা ঢুকেছে দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চলানো নিয়ে ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক ইউনূস-তারেক লন্ডন বৈঠক, রাজনীতে সুবাতাস

‘ইয়াস’ তান্ডবমুক্ত থাকলেও ২৭ উপজেলায় ক্ষতি

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইয়াস থেকে উপকূলবাসী রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি ছিলো হাসিনার সরকারের। বিমান বাহিনী, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে নৌবাহিনী ও কোর্স্ট হার্ডের জাহাজ, স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু জনপ্রতিনিধিরা পূর্বাভাসের পর থেকেই পরিকল্পনা মাফিক ছক এঁকে নিয়েছিলো।

দুর্যোগ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকারের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ছিলো জোরালো।

গত বছর আম্ফানের সময় মাত্র একদিনে ২২ লাখ উপকূলবাসী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেবার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।

ইয়াস প্রভাবে উপকূলবর্তী ৯টি জেলা তথা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বেঁড়ি বাধ ভেঙ্গে এবং বিভিন্ন গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলের তোড়ে ভেসে অনেক কিছুই।

ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে-শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, মঠবাড়ীয়া, বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, পটুয়াখালী সদর, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, চরফ্যাশন, মনপুরা, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, হাতিয়া, রামগতি ও কমলনগর।

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ভারতের উপকূল অতিক্রমের পর থেকে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। তবে ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭ উপজেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রকে সার্বিক ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাকিদের এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনকূলে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ বরাদ্দ মজুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে জোয়ারের জল বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে ১৬ হজার ৫০০ শুকনা ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা, উপজেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য আদান-প্রদানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রকের এনডিআরসিসি (জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র) ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদানে সার্বক্ষণিক কাজ করে চলেছে।

‘উপকুলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আনসার ভিডিপির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। ঝড় আঘাত হানলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত ছিল ।

মানবিক সহায়তার যথেষ্ট সংস্থান আগে থেকেই করা ছিল। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার জন্য যথেষ্ট মাস্ক এবং স্বাস্থ্য উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছিল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘ইয়াস’ তান্ডবমুক্ত থাকলেও ২৭ উপজেলায় ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৭:১৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

ইয়াস থেকে উপকূলবাসী রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি ছিলো হাসিনার সরকারের। বিমান বাহিনী, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে নৌবাহিনী ও কোর্স্ট হার্ডের জাহাজ, স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু জনপ্রতিনিধিরা পূর্বাভাসের পর থেকেই পরিকল্পনা মাফিক ছক এঁকে নিয়েছিলো।

দুর্যোগ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকারের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ছিলো জোরালো।

গত বছর আম্ফানের সময় মাত্র একদিনে ২২ লাখ উপকূলবাসী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেবার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।

ইয়াস প্রভাবে উপকূলবর্তী ৯টি জেলা তথা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বেঁড়ি বাধ ভেঙ্গে এবং বিভিন্ন গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলের তোড়ে ভেসে অনেক কিছুই।

ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে-শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, মঠবাড়ীয়া, বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, পটুয়াখালী সদর, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, চরফ্যাশন, মনপুরা, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, হাতিয়া, রামগতি ও কমলনগর।

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ভারতের উপকূল অতিক্রমের পর থেকে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। তবে ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭ উপজেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রকে সার্বিক ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাকিদের এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনকূলে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ বরাদ্দ মজুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে জোয়ারের জল বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে ১৬ হজার ৫০০ শুকনা ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা, উপজেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য আদান-প্রদানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রকের এনডিআরসিসি (জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র) ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদানে সার্বক্ষণিক কাজ করে চলেছে।

‘উপকুলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আনসার ভিডিপির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। ঝড় আঘাত হানলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত ছিল ।

মানবিক সহায়তার যথেষ্ট সংস্থান আগে থেকেই করা ছিল। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার জন্য যথেষ্ট মাস্ক এবং স্বাস্থ্য উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছিল।’