ইরানে হামলা: ইসরায়েলকে দিয়ে নোংরা কাজ করাচ্ছেন ট্রাম্প

- আপডেট সময় : ০৮:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
ট্রাম্প দেখতে চান, ইসরায়েল হামলা চালিয়ে ইরানে খামেনির শাসনকে কতটা দুর্বল করতে পারে
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার জেনিভায় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য সেখানে পৌঁছে গেছেন জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
ইরানের পরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসি লিখেছে, বৈঠক হলেও কূটনৈতিক পথে ইসরায়েল-ইরান সংঘাত বন্ধে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সামনে সুযোগ কম।
আগের রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির দূত লর্ড পিটার ম্যান্ডেলসন। এতে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের উৎসাহের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েল গত সপ্তাহে শুক্রবার ইরানে হামলা শুরু করার পর জেনিভার বৈঠকটিই হবে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সরাসরি বৈঠক।
এ বৈঠক থেকে আশাবাদী হওয়ার মত কোনো ফল আসবে না বলে মনে করছেন না কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপসাগরীয় রাজনীতি বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক লুসিয়ানো জাকারা।
তিনি বলছেন, আরাগচির সঙ্গে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই আলোচনায় সমাধানে পৌঁছাতে সীমিত বিকল্পই আছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য সেখানে পৌঁছে গেছেন ছবি: রয়টার্স
আল জাজিরাকে জাকারা বলছিলেন, ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তাদের হাতে সময় কম। কারণ ২০১৫ সালে যে পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে তার সময়সীমা অক্টোবর পর্যন্ত রয়েছে।
এর পরেই কেবল সে নিষেধাজ্ঞা আবার কার্যকর করা যাবে। নিষেধাজ্ঞা আবার কার্যকর করবেন কিনা তা ঠিক করতে তারা নিজেরাই মধ্য অগাস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। অর্থাৎ কিছু করার জন্য এটা তাদের জন্য কম সময়।
তার ভাষ্য, “ইউরোপী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটাই করতে পারেন, তা হল- ইরানকে সংঘাতের তীব্রতা কমিয়ে আনতে রাজি করানো এবং সমঝোতায় পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসানো। কারণ আরাগচি বলেছেন, আক্রমণ চললে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না ইরান।
ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে না বললে আলোচনা কখনো হবে না।
ইরানে হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না সে ব্যাপারে মনস্থির করতে ট্রাম্পের দুই সপ্তাহ সময় নেওয়ার কথা তুলে ধরে জাকারা বলেন, এই সময় নেওয়ার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে বলছেন, ঠিক আছে এর মধ্যে যত পার করে নাও, তারপর আমি দেখছি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, ট্রাম্প সময় পেতে চান, দেখতে চান কি ঘটে। তিনি ইসরায়েলকে নোংরা কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি দেখতে চান ইসরায়েল হামলা চালিয়ে ইরানে খামেনির শাসনকে কতটা দুর্বল করতে পারে।