ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে ইসরায়েলের গোপন অভিযানের কথা জানান বিদায়ী মোসাদ প্রধান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানের পদ থেকে গত সপ্তাহে বিদায় নিয়েছেন ইয়োসি কোহেন। ছবি: সংগৃহিত

ইসরায়েলি গোয়েন্দারা কীভাবে ইরানে গোপন অভিযান চালিয়ে আসছেন, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন দেশটির গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদ্য বিদায়ী প্রধান ইয়োসি কোহেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে ঢুকে কীভাবে হাজার হাজার নথি বের করে নেওয়া হয়েছে, তার রোমহর্ষ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং একজন পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইয়োসি কোহেন।

শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর ইউভডা ডকুমেন্টারি প্রোগ্রামে এই সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। যা ডকুমেন্টারি ইসরায়েলি টেলিভিশনে গত বৃহস্পতিবার রাতে সম্প্রচার হয়।

সাক্ষাৎকারে মোসাদের কার্যক্রমের গোপন অনেক বিষয় সামনে এসেছে। কোহেন পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মোসাদকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত সপ্তাহে অবসরে যান।

২০১৮ সালে ইরানের ওয়্যারহাউসে হামলা চালিয়ে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা ওই সব নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেছেন, ‘ওই অপারেশন পরিকল্পনা করতে দুই বছর সময় লেগেছিল। এর সঙ্গে ২০ জন মোসাদ এজেন্ট মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। তবে এসব এজেন্টের কেউই ইসরায়েলের নাগরিক ছিলেন না। তেল আবিবের কমান্ড সেন্টার থেকে গোয়েন্দাপ্রধান ওই অপারেশন দেখছিলেন।

এজেন্টরা ওয়্যারহাউস ভেঙে ঢুকে পড়ে ৩০টি সিন্দুক ভাঙেন। স্ক্রিনে যখন ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখানো হয়, তা ছিল আমাদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’

ওই অপারেশনের সব এজেন্ট জীবিত ফিরে এসেছিলেন। তবে অপারেশনের পর কয়েকজন এজেন্টকে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিবিসি বলছে, মোসাদের সাবেক প্রধান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। তবে ইয়োসি কোহেনের মন্তব্যে যে মাত্রায় বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে, তা অসাধারণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইরানে ইসরায়েলের গোপন অভিযানের কথা জানান বিদায়ী মোসাদ প্রধান

আপডেট সময় : ১০:২০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানের পদ থেকে গত সপ্তাহে বিদায় নিয়েছেন ইয়োসি কোহেন। ছবি: সংগৃহিত

ইসরায়েলি গোয়েন্দারা কীভাবে ইরানে গোপন অভিযান চালিয়ে আসছেন, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন দেশটির গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদ্য বিদায়ী প্রধান ইয়োসি কোহেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে ঢুকে কীভাবে হাজার হাজার নথি বের করে নেওয়া হয়েছে, তার রোমহর্ষ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং একজন পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইয়োসি কোহেন।

শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর ইউভডা ডকুমেন্টারি প্রোগ্রামে এই সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। যা ডকুমেন্টারি ইসরায়েলি টেলিভিশনে গত বৃহস্পতিবার রাতে সম্প্রচার হয়।

সাক্ষাৎকারে মোসাদের কার্যক্রমের গোপন অনেক বিষয় সামনে এসেছে। কোহেন পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মোসাদকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত সপ্তাহে অবসরে যান।

২০১৮ সালে ইরানের ওয়্যারহাউসে হামলা চালিয়ে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা ওই সব নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেছেন, ‘ওই অপারেশন পরিকল্পনা করতে দুই বছর সময় লেগেছিল। এর সঙ্গে ২০ জন মোসাদ এজেন্ট মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। তবে এসব এজেন্টের কেউই ইসরায়েলের নাগরিক ছিলেন না। তেল আবিবের কমান্ড সেন্টার থেকে গোয়েন্দাপ্রধান ওই অপারেশন দেখছিলেন।

এজেন্টরা ওয়্যারহাউস ভেঙে ঢুকে পড়ে ৩০টি সিন্দুক ভাঙেন। স্ক্রিনে যখন ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখানো হয়, তা ছিল আমাদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’

ওই অপারেশনের সব এজেন্ট জীবিত ফিরে এসেছিলেন। তবে অপারেশনের পর কয়েকজন এজেন্টকে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিবিসি বলছে, মোসাদের সাবেক প্রধান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। তবে ইয়োসি কোহেনের মন্তব্যে যে মাত্রায় বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে, তা অসাধারণ।