ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর কাফরুল এলাকায় থাকেন মনসুর রহমান। ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইতালি প্রবাসী ছেলে রেজওয়ান কবির সাকিবের ইমো অ্যাকাউন্ট থেকে ফোন করে জানানো হয়, তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। ছাড়িয়ে নিতে জরুরিভিত্তিতে দেড় লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা পাঠাতে কিছু সময় চান মনসুর রহমান।

তখন দেশ থেকে কয়েক দফা ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। কারণ, ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে ছেলের ইমো অ্যাকাউন্টের দখল নিয়েছে প্রতারকরা। কয়েকটি বিকাশ নম্বরে কয়েক ধাপে দেড় লাখ টাকা পাঠিয়ে দিলে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।

ভুক্তভোগী মনসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন শুনেছি আমার ছেলেকে জেলে ঢুকাবে তখন এত কষ্ট লাগে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। দেড় লাখ মেনেজ করি, এরপর তারা ৫টা বিকাশ নম্বর দেয়, সেখানেই আমি ওই দেড় লাখ টাকা বিকাশ করি।’

এরপর প্রতারণার বিষয়ে তিনি মামলা করেন। মামলার তদন্তে নেমে নাটোরের লালপুর এলাকা থেকে ২১ টি সিম কার্ড, ৯টি মোবাইল ফোনসহ মাসুদ রানা নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ওই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারণা থেকে বাঁচতে প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক থাকারও পরামর্শ পুলিশের।

সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আপনি যদি প্রতারকের কাছে ম্যাসেজের ওটিপি দিয়ে দেন তখনই ইমোর কন্ট্রোলটা চলে যাবে সম্পূর্ণ অ্যাপের আন্ডারে বা ওই প্রতারকের কাছে।’

তিনি জানান, গ্রেফতার মাসুদ রানা কয়েক বছর আগেও রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু গত এক বছরের বেশি সময় ধরে মানুষের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।

ওই প্রতারণার বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ওই ব্যক্তি পাঁচটি বিকাশ নম্বরে দেড় লাখ টাকা পাঠান। শুধু তাই নয় সুইজারল্যান্ডের এক প্রবাসীরও এ ঘটনা ঘটেছে। তারা (প্রতারকরা) যদি আপনাদের কাছে কোনো ওটিপি বা পিন নম্বর চায়, দেবেন না। এগুলো দিলেই আপনি প্রতারণার শিকার হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত

আপডেট সময় : ০২:৩০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

রাজধানীর কাফরুল এলাকায় থাকেন মনসুর রহমান। ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইতালি প্রবাসী ছেলে রেজওয়ান কবির সাকিবের ইমো অ্যাকাউন্ট থেকে ফোন করে জানানো হয়, তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। ছাড়িয়ে নিতে জরুরিভিত্তিতে দেড় লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা পাঠাতে কিছু সময় চান মনসুর রহমান।

তখন দেশ থেকে কয়েক দফা ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। কারণ, ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে ছেলের ইমো অ্যাকাউন্টের দখল নিয়েছে প্রতারকরা। কয়েকটি বিকাশ নম্বরে কয়েক ধাপে দেড় লাখ টাকা পাঠিয়ে দিলে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।

ভুক্তভোগী মনসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন শুনেছি আমার ছেলেকে জেলে ঢুকাবে তখন এত কষ্ট লাগে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। দেড় লাখ মেনেজ করি, এরপর তারা ৫টা বিকাশ নম্বর দেয়, সেখানেই আমি ওই দেড় লাখ টাকা বিকাশ করি।’

এরপর প্রতারণার বিষয়ে তিনি মামলা করেন। মামলার তদন্তে নেমে নাটোরের লালপুর এলাকা থেকে ২১ টি সিম কার্ড, ৯টি মোবাইল ফোনসহ মাসুদ রানা নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ওই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারণা থেকে বাঁচতে প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক থাকারও পরামর্শ পুলিশের।

সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আপনি যদি প্রতারকের কাছে ম্যাসেজের ওটিপি দিয়ে দেন তখনই ইমোর কন্ট্রোলটা চলে যাবে সম্পূর্ণ অ্যাপের আন্ডারে বা ওই প্রতারকের কাছে।’

তিনি জানান, গ্রেফতার মাসুদ রানা কয়েক বছর আগেও রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু গত এক বছরের বেশি সময় ধরে মানুষের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।

ওই প্রতারণার বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ওই ব্যক্তি পাঁচটি বিকাশ নম্বরে দেড় লাখ টাকা পাঠান। শুধু তাই নয় সুইজারল্যান্ডের এক প্রবাসীরও এ ঘটনা ঘটেছে। তারা (প্রতারকরা) যদি আপনাদের কাছে কোনো ওটিপি বা পিন নম্বর চায়, দেবেন না। এগুলো দিলেই আপনি প্রতারণার শিকার হবেন।