ফের বাড়ছে লকডাউন
- আপডেট সময় : ১০:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
করোনার সংক্রমণের হার এখনও বেশি। মৃত্যুর হারও রেকর্ড অতিক্রম করছে প্রতিনিয়ত। এ অবস্থায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও সাতদিন বাড়ানোর প্রস্তাব গিয়েছে সরকারের কাছে। শনিবার আরও ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চলমান লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
আগামীকাল সোমবার এ সংক্রান্ত শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা জানা গিয়েছে। সেই সভার মতামত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে চলমান লকডাউন বাড়িয়ে ২২ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। চলমান ৮ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ২১ এপ্রিল রাত ১২ টা নাগাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, করোনার এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। কারণ সংক্রমণের হার তো কমছে না। বাড়ছে মৃত্যুর হারও। মাঝপথে সবকিছু খুলে দিলে সরকারের সব উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। চরম হুমকিতে পড়বে মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা।
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য মন্ত্রক, বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি ও সমাজ সচেতন মহল থেকে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ রয়েছে। তবে সেটি হবে প্রকৃত লকডাউন। যদি তা বাস্তবায়ন করা যায়, তবেই সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা সম্ভব মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলে আগামী ২০ এপ্রিল তা জানা যাবে। একইদিন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুর্য়োগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, লকডাউন বাড়ছে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকার গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি।
সর্বশেষ শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ১০ হাজার ২৮৩ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি ভাইরাসটি ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৪৭৩ জনের শরীরে। আক্রান্তর সংখ্যা কমতির দিকে। এখনও পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জন।