সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন হাটগুলোতে সূর্যাপুরী আম বিক্সরি হচ্ছে মাত্র ৭টাকা কেজি দরে
৭ টাকা কেজি আম মাত্র ৭টাকা! ভাবা যায়? এই মরসুমে প্রতি কেজি আম বিক্রি হতো কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। করোনায় বাংলাদেশের উত্তরজনপদে লকডাউন চলছে। একারণে ঢাকায় যেতে পারছে না আম।
তার জেরেই হাজার হাজার মণ আম অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। হতাশায় ভুগছেন আম চাষীরা। আম চাষীরা জানিয়েছেন, বিাগানের অধিকাংশ আম প্রায় পেকে গেছে। সে ক্ষেত্রে কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে।
করোনার প্রভাবে বাজারে ক্রেতা কম। আম বিক্রি কমে যাওয়ায় বাজারের এমন বিপর্যয় ঘটেছে বলে স্থানীয় আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের ধারণা।
মঙ্গলবার উপজেলার লাহিড়ী, খোচাবাড়ী, স্কুলহাট, কুশলডাঙ্গী, বাদামবাড়ী, হলদিবাড়ী, কালমেঘসহ কয়েকটি বাজারে আমের ব্যবসায়ীরা আম নিয়ে বসে আসেন। অথচ ক্রেতা নেই। দু-একজন ক্রেতা থাকলেও তাঁরা স্থানীয়। বাইরের ক্রেতা নেই বললেই চলে।
বাজারে সূর্যাপুরী কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতিমণ দরে। আম্রপালি ৭০০ টাকা, হিমসাগর ১ হাজার চারশত টাকা, লখনা আমের প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, ল্যাংড়া আম ৬০০ টাকা। কাঁচা আমের তুলনায় পাকা আমের মূল্য অর্ধেকের চেয়ে আরও কম।
কুশলডাঙ্গী বাজারে ছিদ্দিকা বেগম দুই কেজি সূর্যাপুরী আম কিনেছেন ১৪ টাকায়। গত বছর এই আম শুরুতেই ৫০ টাকা কেজি দরে কিনে খেতে হয়েছিল তাদের।
বালিয়াডাঙ্গী বাজারের আম ব্যবসায়ী হারুন জানান, বাজারে আমের ক্রেতাও নেই, দামও নেই। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাইরে থেকেও আম কিনতে কেউ আসেনি। বিক্রি না হওয়ার কারণে পাকা আম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় চারশত ৩১ হেক্টর জমিতে সূর্যাপুরী, আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, আশ্বিনা, বাড়ি-৪ সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সুর্যাপুরী ও আম্রপালি আমের বাগান বেশি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে গত ৩ বছর ধরে আম বিক্রি করছেন এস এম মনিরুজ্জামান নামে শিক্ষার্থী। তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনলাইনে তেমন সাড়া নেই। দাম কম হলেও চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২০ মণ আমের অর্ডার পাননি। গত বছর প্রায় ২০০ মণ আম বিক্রি করেছি অনলাইন প্লার্টফমে।