আফগানিস্তানে সরকার গঠনের তোড়জোর শুরু গিয়েছে। কাতার থেকে কাবুলে ফিরেছেন নির্বাসিত নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার। গত রাতে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে,
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ঘোষণা দেন, শরিয়া আইনে চলবে দেশ। একইসঙ্গে শান্তির বার্তাও দিলো উগ্র গোষ্ঠিটি।
যদিও তালেবানী আশ্বাসে ভরসা না করে, এখনও বিমানবন্দরে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। বিমান অবতরণ করা মাত্রই কেউ ঝুঁলে পড়ছেন পাখায় কেউবা বাস ট্রেনের মতো উঠে বসছেন উড়ানের ছাদে।
আফগান পরিস্থিতি যখন এই তখন মঙ্গলবার ২০ হাজার আফগান শরনার্থীকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। প্রথম ধাপে এই সুযোগ পাবে ৫ হাজার আফগান শরনার্থী। এছাড়াও আফগান শরনার্থী গ্রহনের ঘোষনা দিয়েছে, চিলি আর যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
তাছাড়া আফগান হিন্দু ও শিখদের আশ্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবারের বৈঠকে মোদি বলেন, আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিখ ও হিন্দুদের অবশ্যই আমাদের আশ্রয় দিতে হবে। যে আফগান
ভাইবোনেরা সাহায্যের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে আছেন তাদেরও প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিমানে এদিন আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪০ জন ভারতীয়। এর মধ্যে রয়েছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন, দূতাবাসের কর্মী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) কর্মী ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। ট্যান্ডন দেশে
ফিরেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সবিস্তারে জানান প্রধানমন্ত্রীকে।