আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই: ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় : ০২:২৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১ ২৪৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
বাংলাদেশে যেসব বিরোধী রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের আন্দোলন করার মতো কোন ইস্যু নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সুদক্ষ নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বে আজ সমাদৃত। জনগণ ভোট দেবে না বুঝতে পেরেই বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন, সড়ক পরিবহন তথা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি বলেন, পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে যে তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের পক্ষে। ওবায়দুল কাদেও সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা সরকার হটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাঁরা এখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারে চোরাগলি খুঁজছে।
কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন চলমান প্রকল্প আজ দৃশ্যমান। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে। বিএনপি আমলে তারা একটাও উন্নয়নের সফলতা দেখাতে পারেনি। বিএনপির রাজনীতিতে এখন খরা লেগেছে। বিএনপির সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে এখন আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের রাজনীতি সরকারবিরোধী রাজনীতিকে ইস্যুকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। বিএনপি আন্দোলনের কোনো জুতসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে ডুবন্ত মানুষের মতো এটা-সেটা আঁকড়ে ধরার অপ্রাণ চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভালোবাসা, দেশপ্রেম আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের কঠিন মনোবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমাদের প্রত্যেকের বিকল্প থাকলেও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতেও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের আস্থার সোনালি দিগন্ত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অভিযাত্রায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠে আসতে পেরেছে, শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি সোনালি পালক।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সব ইউনিটের কমিটি গঠন করতে হবে এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরবর্তী তিন মাস পরে ওয়ার্ড সম্মেলন ও থানা সম্মেলন করতে হবে।