বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে জন্ম নেওয়া অসম্প্রদায়িক আওয়ামী লগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

- আপডেট সময় : ১১:২৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ ১৭৬ বার পড়া হয়েছে
ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
‘বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। যার হাত ধরে বিশ্ব আকাশে পতপত করে উড়ে চলেছে ‘এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লালসবুজে খচিত পতাকা। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া এই মর্যাদাপূর্ণ পতাকাকে এখন বলা হয়ে থাকে ‘উন্নয়নে’র পতাকা। সবটাই এসেছে শেখ হাসিনার হাত ধরে’
হাজারো ঝড়ঝঞ্ঝা পেরিয়ে মজবুত এক অবস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রাচীন দলটির রয়েছে গৌরবগাঁথা বন্দনা। সময়ের পিঠ বেয়ে প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ৭২তম বার্ষিকী। দেশের গন্ডি পেরিয়ে দুনিয়ার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া দলটির নাম আজ বাংলাদেশকেই উজ্জ্বল করে চলেছে। আর এর সভাপতির আসনটিতে যিনি রয়েছেন, তিনি বিশ্বের অন্যতম এক নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হআসিনা।

ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ফাইল ছবি
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা তিনি। যার হাত ধরে বিশ্ব আকাশে পতপত করে উড়ে চলেছে ‘এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলা লাখো শহীদের রক্তে বিনিময়ে অর্জিত লালসবুজে খচিত পতাকা। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া এই মর্যাদাপূর্ণ পতাকাকে এখন বলা হয়ে থাকে ‘উন্নয়নে’র পতাকা।
এখন ধার করতে অনুরোধ করতে হয় না। ধার দিতে পীড়াপিড়ি করে উন্নত দেশ। রক্তে মাখা বাংলার জমিনে দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার তিনি গড়ে তুলবেন। বিশ্বে এক মাইলফলকে পরিণত করবেন বঙ্গবন্ধুর বাংলাকে। সেই শপথ বাক্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছেন ‘বাংলার উন্নয়নের মা’ শেক হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার বাংলাদেশের মানুষকে না খেয়ে মরতে দেব না। গৃহহীন থাকতে দেব না। সারের অভাবে জমিতে ফসল ফলবে না, তা হতে দেব না। আজ বিশ্ব নেতা বঙ্গবন্ধুর আলো জ্বালানো পথেই বাংলার মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন হয়েছে। মুজিববর্ষ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের আগেই লক্ষাধিক গৃহহীন মানুষ পেয়েছেন তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। এ যেন এক অবিশ্বাস্য চিত্রকল্প। যা সম্ভব এক মহান নেতার কন্যার পক্ষেই। এই আবেগই বাংলার মানুষের চলার শক্তি।

বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার দুরদর্শীতায় বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই। একথা আজ বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ওঠে এসেছে।
আজ ২৩ জুন। আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এদিন ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের নেতাকর্মীরা সেখানে যান। এরপর একে একে তারাও শ্রদ্ধা জানান।
সময়টা ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। স্থান পুরানো ঢাকার কে এম দাস লেনের ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রথম কাউন্সিলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং শামসুল হককে যথাক্রমে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তখন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কারাগারে বন্দি।
বন্দি অবস্থায় তাকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহে দলের দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
সেই কাউন্সিলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর ঢাকার সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলে দলের তৃতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক সংগঠনে পরিণত হয়।
‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নতুন নামকরণ হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। পরবর্তী সময়ে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহাল থাকেন।