ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্থির পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত: মোদি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১ ২৩২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমার সেই প্রত্যাশা ও কামনা আজ পূর্ণ হলো

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের বিকাশ ও নিজেদের প্রগতির চেয়ে সমগ্র বিশ্বের উন্নতি দেখতে চায়। উভয় দেশই পৃথিবীতে অস্থিরতা, সন্ত্রাস এবং অশান্তির পরিবর্তে স্থিতিশীলতা, প্রেম এবং শান্তি চায়। শনিবার টুঙ্গিপাড়ার ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে দেয়া তার বক্তৃতায় একথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদি তার আবেগঘন বক্তৃতায় বলেছেন, ভারতের হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ওড়াকান্দি এসে যেমন অনুভব করেন, আমিও ঠিক তেমন অনুভব করছি। এই পবিত্র দিনের অপেক্ষা আমার বহু দিনের। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি যখন বাংলাদেশে আসি তখনই এখানে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম। আমার সেই প্রত্যাশা ও কামনা আজ পূর্ণ হলো। আমি নিয়মিতভাবে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুগামীদের থেকে ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি।

মোদি বলেন, শক্রবার ঢাকায় জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের সময় আমি বাংলাদেশে সৌর্য, ক্ষমতা ও সংস্কৃতির অপূর্ব প্রদর্শন দেখি। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আজ যেভাবে বাংলাদেশ-ভারতের সরকার দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করছে সাংস্কৃতিকভাবে এই কাজই ঠাকুরবাড়ি ও শ্রী শ্রী হরিচাঁদ জি বহু দশক থেকে করে আসছে। এই স্থান বাংলাদেশ-ভারতের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থক্ষেত্র। আমাদের সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। মনের সঙ্গে মনের সম্পর্ক।

এর আগে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদি। শ্যামনগর যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজা অর্চনা শেষে টুঙ্গিপাড়া পৌছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভ্যর্থনা জানান। সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠের হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এ সময় তাকে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেন ঠাকুর বাড়ির মতুয়ারা। সেখানে তিনি পূজা-অর্চনা করেন। পরে তিনি ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও ৩ শতাধিক মতুয়া নেতার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এর আগে নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বোন শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সমাধি পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে একটি বকুল ফুলের গাছ রোপণ করেন মোদি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকা পৌছান তিনি। সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর যান।

সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং পূজা দেন। এরপর সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সন্ধ্যায় নয়া দিল্লীর ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অস্থির পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত: মোদি

আপডেট সময় : ০৩:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

আমার সেই প্রত্যাশা ও কামনা আজ পূর্ণ হলো

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের বিকাশ ও নিজেদের প্রগতির চেয়ে সমগ্র বিশ্বের উন্নতি দেখতে চায়। উভয় দেশই পৃথিবীতে অস্থিরতা, সন্ত্রাস এবং অশান্তির পরিবর্তে স্থিতিশীলতা, প্রেম এবং শান্তি চায়। শনিবার টুঙ্গিপাড়ার ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে দেয়া তার বক্তৃতায় একথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদি তার আবেগঘন বক্তৃতায় বলেছেন, ভারতের হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ওড়াকান্দি এসে যেমন অনুভব করেন, আমিও ঠিক তেমন অনুভব করছি। এই পবিত্র দিনের অপেক্ষা আমার বহু দিনের। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি যখন বাংলাদেশে আসি তখনই এখানে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম। আমার সেই প্রত্যাশা ও কামনা আজ পূর্ণ হলো। আমি নিয়মিতভাবে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুগামীদের থেকে ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি।

মোদি বলেন, শক্রবার ঢাকায় জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের সময় আমি বাংলাদেশে সৌর্য, ক্ষমতা ও সংস্কৃতির অপূর্ব প্রদর্শন দেখি। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আজ যেভাবে বাংলাদেশ-ভারতের সরকার দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করছে সাংস্কৃতিকভাবে এই কাজই ঠাকুরবাড়ি ও শ্রী শ্রী হরিচাঁদ জি বহু দশক থেকে করে আসছে। এই স্থান বাংলাদেশ-ভারতের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থক্ষেত্র। আমাদের সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। মনের সঙ্গে মনের সম্পর্ক।

এর আগে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদি। শ্যামনগর যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজা অর্চনা শেষে টুঙ্গিপাড়া পৌছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভ্যর্থনা জানান। সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠের হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এ সময় তাকে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেন ঠাকুর বাড়ির মতুয়ারা। সেখানে তিনি পূজা-অর্চনা করেন। পরে তিনি ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও ৩ শতাধিক মতুয়া নেতার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এর আগে নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বোন শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সমাধি পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে একটি বকুল ফুলের গাছ রোপণ করেন মোদি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকা পৌছান তিনি। সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর যান।

সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং পূজা দেন। এরপর সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সন্ধ্যায় নয়া দিল্লীর ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।