ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ায় উইঘুর ইস্যুতে ‘বেইজিং অলিম্পিক’ বর্জনের বিক্ষোভ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অস্ট্রেরিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সংসদ ভবনের কাছে চীনের বিরুদ্ধে চলমান উইঘুর মুসলমানদের গণহত্যা এবং তিব্বত, দক্ষিণ মঙ্গোলিয়া, হংকংয়ে তীব্র দমন পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অলিম্পিক দিবসে ‘নো বেইজিং ২০২২ গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন’ প্রচারণার অধীনে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক ২০২২ বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিব্বতী, উইঘুর, দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ান, হংকং এবং তাইওয়ানের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একদল মানুষ ৬০টিরও বেশি বৈশ্বিক শহরে সমাবেশ করেছন। তারা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, অলিম্পিক সংস্থা এবং স্পনসরদের বেইজিং ২০২২ গেমস বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত মে মাসে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একটি জোট বেইজিংয়ে ২০২২ শীতকালীন অলিম্পিক সম্পূর্ণভাবে বয়কটের আহ্বান জানায়। তাদের বক্তব্য, এই গেমে অংশ নেওয়া মানে উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে চীনের গণহত্যাকে সমর্থন করার সমান।

উইঘুর, তিব্বতী, হংকং-এর বাসিন্দা এবং অন্যান্যদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জোট মে মাসে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বয়কটের আহ্বান জানায়। এতে বলা হয়, চীনা সরকার উইগুর জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। পূর্ব তুর্কিস্তান, তিব্বত ও দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ায় দমনপীড়ন এবং হংকংয়ে গণতন্ত্রের ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ করছে।

উইঘুর মুসলমানদের বন্দী শিবিরে পাঠিয়ে তাদের ধর্মীয় কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ এবং নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জিনজিয়াং-এ উইগুরদের সঙ্গে চীনের আচরণকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ডাচ সংসদ উইগুর সংকটকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অস্ট্রেলিয়ায় উইঘুর ইস্যুতে ‘বেইজিং অলিম্পিক’ বর্জনের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

অস্ট্রেরিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সংসদ ভবনের কাছে চীনের বিরুদ্ধে চলমান উইঘুর মুসলমানদের গণহত্যা এবং তিব্বত, দক্ষিণ মঙ্গোলিয়া, হংকংয়ে তীব্র দমন পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অলিম্পিক দিবসে ‘নো বেইজিং ২০২২ গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন’ প্রচারণার অধীনে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক ২০২২ বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিব্বতী, উইঘুর, দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ান, হংকং এবং তাইওয়ানের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একদল মানুষ ৬০টিরও বেশি বৈশ্বিক শহরে সমাবেশ করেছন। তারা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, অলিম্পিক সংস্থা এবং স্পনসরদের বেইজিং ২০২২ গেমস বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত মে মাসে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একটি জোট বেইজিংয়ে ২০২২ শীতকালীন অলিম্পিক সম্পূর্ণভাবে বয়কটের আহ্বান জানায়। তাদের বক্তব্য, এই গেমে অংশ নেওয়া মানে উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে চীনের গণহত্যাকে সমর্থন করার সমান।

উইঘুর, তিব্বতী, হংকং-এর বাসিন্দা এবং অন্যান্যদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জোট মে মাসে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বয়কটের আহ্বান জানায়। এতে বলা হয়, চীনা সরকার উইগুর জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। পূর্ব তুর্কিস্তান, তিব্বত ও দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ায় দমনপীড়ন এবং হংকংয়ে গণতন্ত্রের ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ করছে।

উইঘুর মুসলমানদের বন্দী শিবিরে পাঠিয়ে তাদের ধর্মীয় কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ এবং নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জিনজিয়াং-এ উইগুরদের সঙ্গে চীনের আচরণকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ডাচ সংসদ উইগুর সংকটকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে।