ছবি: সংগ্রহ
বাস্তবতার নিরিখে এটি সফলতার রেকর্ড। প্রতিটি ক্ষেত্রে এই সফলতাকে সঙ্গী করেই এগিয়ে চলছে অদমনীয় বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে দাঁড়িয়ে আর্থ-সামাজিকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যে অর্জন তা স্বীকৃত।
শনিবার সম্প্রসারিত ও নিয়মিত কার্যক্রম মিলিয়ে ৩০ লাখের উর্ধে মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এটি যদি কোটি ছাড়িয়ে যেতো তাও অপ্রত্যাশিত কোন ঘটনা মনে হতো না অদমনীয় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
অবশ্য এদিন রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বার্তায় জানিয়েছে, গণটিকা শুরু দিনেই টিকা দেওয়া হয়েছে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০ ডোজ। এক্ষেত্রে দেশের যে পাঁচটি জেলার তথ্য সংবাদবার্তায়
উল্লেখ করা হয়নি তা হলো, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও সিলেট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্য হচ্ছে, এসব জেলার টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি। যার কারণেই তারা সংবাদবার্তায় পাঁচ জেলার তথ্য উল্লেখ
করেনি। তবে এই জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য যোগ করা হলে তাতে সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৩০ লাখের উর্ধে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৭২ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৯৮ জন।
টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির আওতায় এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ২৮৪ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৯ জন এবং
দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩১৫ জন। তার মধ্যে রয়েছে, অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিন।
গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় চিন্তিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, এ ধরনের কার্যক্রম শুরুর আগে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ তা করেনি।
২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষদের টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ছিলো উপচে পড়া ভিড়। বিশৃঙ্খলা রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।