অক্সফোর্ডের ১০ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ করোনার টিকা দিচ্ছে কোভ্যাক্স। কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাবার তথ্য শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। কোভ্যাক্সের আওতায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চালান শিগগির বাংলাদেশে পৌছানোর আশা করছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্রিফিংয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন দেশের কাছে টিকা চেয়ে অনুরোধ জানানোর বিষয়টি জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী।
ড. মোমেন আরও বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মজুত জানার পর তাদেরকে অনুরোধ জানার। পরে জানা গেল, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম বলে যে দেশগুলোতে টিকা দেওয়া হবে, তার অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশ নেই।
পরে অবশ্য আমরা জেনেছি আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকেও দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী।

একই দিনে গুলশানে এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশে যে টিকা দিচ্ছে, তাতে অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের উপহারের এ টিকা বাংলাদেশে আসবে।
চীন সরকারের উপহার হিসেবে করোনার টিকা বাংলাদেশে আসছে। বেইজিং এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে চীনের উপহারের আরও ৬ লাখ ভ্যাকসিন। শুক্রবার ঢাকা চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকা কর্মসূচি চালু করে হাসিনা সরকার। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা আনার বিষয়ে চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাসে এসব টিকা আসার কথা ছিল। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দুই চালানে ৭০ লাখ টিকা পায় বাংলাদেশ। এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া যায় ৩৩ লাখ ডোজ টিকা।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় গত মার্চে টিকা রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এতে বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে।
ইতোমধ্যে যারা এই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর পরই অন্যান্য দেশে টিকার জন্য যোগাযোগ শুরু করে সরকার। রাশিয়া থেকেও টিকা আনার প্রক্রিয়া শুরু করে।